সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উত্তরার মহিলা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মেয়ে শায়লা চৌধুরী জানান, আগে থেকেই তার বাবার ‘ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ’ রয়েছে। গত বুধবার সকালে তার ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলে মাহী বি চৌধুরী বলেন, হাসপাতালে তার মরদেহ রাখা আছে। সকাল ৯টার দিকে সেখানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বারিধারায় বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাসভবনে তার মরদেহ নেওয়া হবে। সেখানে আরেকটি জানাজা হবে।
আগামীকাল রবিবার সকাল ১০টার দিকে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মরদেহ নেওয়া হবে। সেখানে আরেকটি জানাজা হবে। এরপরে গ্রামের বাড়িতে আরেকটি জানাজার পর তাকে দাফন করা হবে।
অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী বিকল্পধারা বাংলাদেশ–এর সভাপতি। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব। এ ছাড়া জাতীয় সংসদের উপনেতা হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। ১৯৭৯ সালে বদরুদ্দোজা চৌধুরী তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়া- দুই সরকারের সময়ই মন্ত্রী ছিলেন।
মুন্সীগঞ্জ-১ আসন থেকে তিনি পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। দুইবার জাতীয় সংসদের উপনেতা এবং একবার বিরোধী দলীয় উপনেতা হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। ২০০১ সালে তিনি খালেদা জিয়ার সরকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। এরপর ২০০১ সালের ১৪ই নভেম্বর বাংলাদেশের ১৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। রাজনৈতিক কারণে ২০০২ সালের জুন মাসে তিনি রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন।