রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের রুইলুই ভ্যালির সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের অনির্দিষ্টকালের জন্য না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
তৃতীয়বার পর্যটকদের নিরুৎসাহিতকরণের সময় শেষ হওয়ার দিন বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নতুন সিদ্ধান্ত জানালো প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।
এদিন সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞিতিতে বলা হয়, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি এবং এসব এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হলো।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, ‘যেহেতু পর্যটকরা খাগড়াছড়ি হয়ে সাজেক ভ্রমণ করেন। আর এই মুহূর্তে খাগড়াছড়ির সার্বিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করছি আমরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভ্রমণের বিষয়টি পরে জানানো হবে।’
সর্বশেষ ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন) শিরীন আক্তার জানিয়েছিলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করছি আমরা।’
পাহাড়ে সম্প্রতি সহিংসতার জের ধরে চলা অবরোধে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার দিন সাজেকে ১৫০০ পর্যটক আটকা পড়েন। ২৪ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর সহায়তায় পর্যটকরা খাগড়াছড়ি শহরে পৌঁছান। ওই দিন রাঙামাটিতে আইনশৃঙ্খলা সভায় জেলা প্রশাসক সাজেকে পর্যটকদের ভ্রমণে তিন দিনের নিরুৎসাহিতকরণের সময় বেঁধে দেন। সেদিন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবাইদা আক্তার স্বাক্ষরিত জরুরি নোটিশে জানানো হয়েছিল, ২৫, ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। পরে তৃতীয় দফায় সময় বাড়িয়ে তা ৩ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়। সর্বশেষ অনির্দিষ্টকালের জন্য সিদ্ধান্ত দিলো প্রশাসন।