সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার বাসভবন যমুনায় গিয়ে আলোচনা করেছেন আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দল। তারা বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের দাবিতে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে যমুনা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান আন্দোলনের সমন্বয়ক রাসেল আল মাহমুদ। এর আগে আজ বিকাল ৫টা ২৫ মিনিটের দিকে যমুনায় প্রবেশ করেন তিনিসহ আন্দোলনকারীদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
রাসেল বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস দীর্ঘ জার্নি করে এসেছেন। এজন্য উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘ এক ঘণ্টা আলোচনা হয়েছে আমাদের। আলোচনার সময় চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর সুপারিশ কমিটির প্রধান সাবেক সচিব ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে আমাদের কথা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে আমাদের টিম আলোচনা করবে। আগামীকাল মূলত দাবি বাস্তবায়নের জন্য বসবো। আমরা আলোচনা অনেক করেছি।
দাবি বাস্তবায়ন আলোচনার প্রতিবেদন সাত দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে বলেও উল্লেখ করেন রাসেল। তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এটি যৌক্তিক। দাবি বাস্তবায়নের জন্য তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।
এই সমন্বয়ক জানান, এখনই আন্দোলন স্থগিত নয়। এখান থেকে আমরা সরে এখন শাহবাগে যাবো, সেখানে গিয়ে সিদ্ধান্ত নেবো পরবর্তী আন্দোলন কী হবে।
শাহবাগে রাত সোয়া ৯টার দিকে কথা হয় ৩৫ এর দাবিতে আন্দোলনকারী মমিনুলের সঙ্গে। তিনি জানান এই আন্দোলনের তিনিও একজন সমন্বয়ক। তিনি জানান, দুই-এক দিনের মধ্যে তারা প্রজ্ঞাপন পেয়ে যাবেন। এর আগ নাগাদ তাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। তবে রাতে তারা অবস্থান চালিয়ে যাবেন কিনা সে বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সব সমন্বয়ক একসঙ্গে হলে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।