বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক দলের অধীনে হলে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে না। তাই নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ হতে হবে।”
তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এর মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয় না। আর জাতীয় সংসদ নির্বাচন সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন, সরকার পরিবর্তনের জন্য নির্বাচন। তাই দুই নির্বাচন কোনোভাবেই একই মানদণ্ডে বিচার করা যায় না।” তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক দলের অধীনে হলে এটা প্রভাবমুক্ত হবে না। নিরপেক্ষ হবে না। সুষ্ঠু হবে না।’ এটা ২০১৪ সালে শেখ হাসিনা সরকার সারা বিশ্বের কাছে প্রমাণ করেছে।
আমাদের নতুন করে বলতে হবে না।”
বুধবার খন্দকার মোশাররফ ডয়চে ভেলেকে এসব কথা বলেন।”
নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে মোশাররফ বলেন, আমাদের দাবি হলো নির্বাচনকালীন একটি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকার। এখন আমরা দেখি তারা কী করে। আমাদের আরো দাবি হলো -সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন, নির্বাচনের সময় সেনা মোতায়েন। এগুলো সব মিলিয়ে নির্বাচন করতে হবে। সে ওবায়দুল কাদের হয়তো এককভাবে একটা কথা বলেছে। আমরা দেখি বাস্তবে কী হয়। যখন গঠন হবে, তখন আমরা দেখবো। আর ছোট-বড় কোনো কথা নয়, কথা হলো নির্বাচরকালীন সরকার নিরপেক্ষ হতে হবে।”
“প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে। ওই নির্বাচন বিএনপি-জামায়াত জোট বর্জন করে। “ তাদের দাবি ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। আর ওই নির্বাচন হয় দলীয় সরকারের অধীনে।”
এর আগে আদালতের রায়ের ভিত্তিতে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়।”
“বর্তমান আওয়ামী লীগ সকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০১৯ সালের জানুযারি মাসে। আর মেয়াদের মধ্যেই সরকার নির্বাচন দিতে চায়। তাই নির্বাচন হওয়ার কথা চলতি বছরের ডিসেম্বরে।”