অস্থায়ী বাসিন্দাদের সংখ্যা কমানোর জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্টাডি পারমিট ও বিদেশি কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিটের যোগ্যতা আরও কড়াকড়ি করার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। গতকাল বুধবার দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল সরকার বর্তমানে জনমত জরিপে পিছিয়ে রয়েছে। চলতি সপ্তাহে দলটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপ-নির্বাচনে হেরে যায়। এরপরই কানাডা সরকার বিদেশি শিক্ষার্থী এবং কর্মী কমানোর এই পরিকল্পনা ঘোষণা করল।
কানাডায় ২০২৫ সালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে অভিবাসন নীতি কানাডার রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। কানাডার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০২৫ সাল নাগাদ ৪ লাখ ৩৭ হাজার শিক্ষার্থীকে স্টাডি পারমিট দেওয়া হবে। ২০২৩ সালে দেশটি ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৯০ জন শিক্ষার্থীকে তাদের দেশে যাওয়ার অনুমোদন দেয়। চলতি বছর প্রথম সাত মাসে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯২০ জন শিক্ষার্থী কানাডায় যাওয়ার অনুমোদন পেয়েছে।
এছাড়া বিদেশি কর্মীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের সংখ্যাও কমানোর কথা জানিয়েছে কানাডা সরকার। এক বিবৃতিতে কানাডার অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার বলেন, ‘বাস্তবতা হল কানাডায় যারা আসতে চায় সবাই তা পারবে না।’
গত এপ্রিলে কানাডায় অস্থায়ী বাসিন্দা ছিল মোট জনসংখ্যার ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। কানাডা সরকার চাইছে এটি পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনতে।
সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের অভাব এবং জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়সহ বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার জন্য কানাডায় অভিবাসীদের দায়ী করা হয়।