Home » সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নেওয়া হলো ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে

সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নেওয়া হলো ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির কয়েকজন কর্মকর্তা। লেবাননে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে ইসরায়েল হত্যা করার পরিপ্রেক্ষিতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

হিজবুল্লাহর সদস্যদের ব্যবহার করা কয়েক হাজার পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণের পর ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড তাদের সব সদস্যদের যেকোনো ধরনের যোগাযোগ ডিভাইসের ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দেয়। লেবানন ও হিজবুল্লাহ বলেছে, এসব পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণের পেছনে ইসরায়েলের হাত রয়েছে। যদিও ইসরায়েল এসব হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

ইরানের দুইজন আঞ্চলিক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, খামেনিকে দেশটির একটি সুরক্ষিত অবস্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ওই কর্মকর্তারা আরো জানান, নাসরুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে হিজবুল্লাহ ও তাদের অন্য আঞ্চলিক মিত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ইরান।

গতকাল শনিবার ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবার বৈরুতে ইসরায়েলের যে বিমান হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন ওই একই হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের ডেপুটি কমান্ডার আব্বাস নিলফোরৌশনও নিহত হয়েছেন। গত বছরের অক্টোবের গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সহিংসতায় রেভল্যুশনারি গার্ডের বেশ কয়েকজন কমান্ডার নিহত হয়েছেন।

এদিকে নাসরুল্লাহকে হত্যার বিষয়ে ইসরায়েলের ঘোষণার পর এক বিবৃতিতে খামেনি বলেছেন, ‘এখন প্রতিরোধ শক্তিগুলো এই অঞ্চলের ভাগ্য নির্ধারণ করবে এবং হিজবুল্লাহ থাকবে এর সামনের সারিতে।’

নাসরুল্লাহর মৃত্যু ইরানের জন্য একটি বড় ধাক্কা। নাসরুল্লাহ হিজবুল্লাহকে আরব বিশ্বে ইরানের ছায়া বাহিনীগুলোর মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *