Home » খাঁটি মধু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন

খাঁটি মধু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন

মধু বাজারজাত করতে না পরে বিপাকে পড়েছেন গাইবান্ধার মৌ-চাষিরা।

“ তাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে শতশত মণ মধু আটকে পড়ায় অনেকেই পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাষিদের উৎপাদিত মধুর মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বাজারজাতের জন্য সরকারের উদ্যোগ প্রয়োজন।”

বিসিকের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে মৌমাছির চাষ করে শুরুতে ভালো করলেও এখন বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। ‘তাদের অভিযোগ, প্রথম দিকে কিনলেও এখন ওষুধ কোম্পানিগুলো মধু কেনা বন্ধ করায় মৌমাছি থেকে সংগৃহীত মধু বিক্রি করতে পারছেন না তারা।’

একজন চাষি বলেন,কেউ কিনছে না মধু। স্টকে রেখে দিয়েছি। আগে বিক্রি ছিল ১৮-২০ হাজার, আর এখন ৫-৬ হাজারে মণ বিক্রি হচ্ছে।”

“লাভের আশায় বেকারদের অনেকেই ঝুঁকে পড়েন মৌ-চাষে। গাইবান্ধাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে মৌমাছি থেকে কাঙ্ক্ষিত মধু সংগ্রহ করেন চাষিরা। তাদের অনেকেই বিসিক থেকে ঋণ নিয়ে মৌচাষ শুরু করায় মধু বিক্রি করতে না পেরে ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন অনেকে।”

“আরেকজন চাষি বলেন, ‘লাভ হচ্ছে না। বিসিকের লোন পরিশোধ করতে পারছি না। এজন্য আমরা মৌমাছি প্রায় বিক্রিই করে দিয়েছি।”

চাষিদের উৎপাদিত মধুর মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বাজারজাতের জন্য সরকারের উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করেন বিসিকের সাবেক এই কর্মকর্তা।“
“বিসিক সাবেক এজিএম একেএম মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘মানটা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে সমিতির মাধ্যমে বিএসটিআই লাইসেন্স নেয়ার জন্য ল্যাবরটরি দরকার। ল্যাবরটরি না থাকার জন্য তারা লাইসেন্স পায় না।”

“২০১৫ সালে গাইবান্ধা বিসিক থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মৌমাছি চাষ শুরু করেন প্রায় একশ জন চাষি। উৎপাদিত মধু বিক্রি করতে না পেরে চাষিদের ঘরে প্রায় চারশো মণ মধু আটকে পড়েছে।”

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *