বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠক নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে হোয়াইট হাউস। এতে ওয়াশিংটন ও ঢাকার মধ্যকার ঘনিষ্ঠ অংশীদারত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের (ইউএনজিএ) ফাঁকে দুই নেতার সাক্ষাতের পর হোয়াইট হাউস ওই বিবৃতি দেয়। এতে হোয়াইট হাউস বলেছে, এটি অভিন্ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং দুই দেশের জনগণের সম্পর্কের গভীরে প্রোথিত রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন দুই সরকারের মধ্যে আরও সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং বাংলাদেশকে নতুন সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে মার্কিন সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. ইউনূসকে বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকারের প্রধান হিসেবে সাম্প্রতিক নিয়োগে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এরআগে অধ্যাপক ইউনূস নিউইয়র্কে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। এতে নানা বিষয় নিয়ে আলাপ হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের সঙ্গে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাক্ষাতের ঘটনা এটিই প্রথম।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে ড. ইউনূস গত সোমবার নিউইয়র্ক পৌঁছান। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে তিনি সংস্থাটির ৭৯তম অধিবেশনে যোগদান করেন। স্থানীয় সময় ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের। ওইদিনই দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এর পর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ৮ আগস্ট অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।