ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে সাইবার অপরাধ। সহজলভ্য হওয়ায় যে কেউ ব্যবহার করতে পারছেন ইন্টারনেট। একই সাথে বাড়ছে অবৈধ ইন্টারনেট ব্যবসায়ীও। সিলেট শহরে বিনা লাইসেন্সে ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে বিভিন্ন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি)।
সিলেট এর পাড়া মহল্লা অলিগলি তে গড়ে উটেছে এই সব অবৈধ আইএসপি, প্রতিটি বড় এলাকায় ২টা বৈধ আইএসপি তাকলে খুজে পাওয়া যাই ৪টা অবৈধ আইএসপি।
টিলাগড় এলাকার কিছু ইন্টারনেট গ্রাহক দের সাথে আলাপ করে জানা যায়, নামে বেনামে গড়ে উঠা এই সব অবৈধ আইএসপির সার্ভিস খুব জঘন্য তার উপর এই সব আইএসপির কর্মী দের ব্যবহার অত্যন্ত খারাপ, তাদের খারাপ আচরের এর জন্য অনেক গ্রাহক তাদের সার্ভিস বাদ দিয়ে দেন। তার উপর গ্রাহক দের উপর হুমকি ধামকি তে আছে, এর সকল অবৈধ আইএসপির জনবল সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের এর সাথে জড়িত।
এ সকল গ্রাহক মনে করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এ ডিজিটাল সেবা যেন জনগণ সঠিক প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য স্থানীয় পর্যায়ে আইএসপি প্রতিষ্ঠান সমূহকে মনিটরিং করা প্রয়োজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিলেটের কিছু আইএসপি কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে জানা যায় কিছু অসাধু আইএসপির ব্যবসায়ী বড়ো অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এস সব অবৈধ আইএসপি তৈরি করে দেন, পরবর্তিতে তারা ব্যান্ডউইথ দিয়ে এই সকল অবৈধ আইএসপিকে চালাতে সাহায্য করেন।
বালুচর, শাহী ঈদগাহ, আম্বরখানা, বন্দর, কালীঘাট, বটেশ্বর, শাহপরান, মেজরটিলা, টিলাগড়, মিরাবাজার থেকে শুরু করে মেডিক্যাল এলাকা পর্যন্ত গুরে দেখা যায় এই সকল অগণিত অবৈধ আইএসপির সংখ্যা ।
বিটিসিএল এর এক কর্মকর্তার সাথে আলাপে তিনি জানান, আইসিটি নীতিমালার মধ্যে যাতে তারা কাজ করে এবং ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করে সেজন্য জেলা প্রশাসন ও বিটিসিএল এর স্থানীয় কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মনিটরিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যেতে পারে। এছাড়াও সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে আইনের যথাযত বাস্তবায়ন ও সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।