টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে কক্সবাজার শহর। শহরটির প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকা ডুবে আছে পানিতে। কক্সবাজারে শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫০১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে, যা এই মৌসুমে সর্বোচ্চ। কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকার মানুষ এখন পানিবন্দী। ৬০ শতাংশ এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। বাদ যায়নি হোটেল-মোটেল জোনও। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পর্যটকসহ ব্যবসায়ীরা।
কেবল পৌর শহর নয়, জেলার অধিকাংশ এলাকার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। টানা বৃষ্টিতে শতাধিক গ্রাম তলিয়ে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত এক লাখ মানুষ। তাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
বৃষ্টিতে কক্সবাজারে ভ্রমণে আসা পর্যটকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। অধিকাংশ পর্যটক অবস্থান করছেন হোটেল কক্ষে। আবার অনেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছুটছেন সাগরে। সাগরে লোনা জলে গা ভাসাচ্ছেন অনেকেই। পর্যটকরা জানান, সৈকতের বর্ষাকালীন সৌন্দর্য অন্যরকম। আবার অনেকেই বৃষ্টি কারণে বিরক্তি প্রকাশ করতেও দেখা গেছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, আরও কয়েকদিন এই পরিস্থিতি থাকতে পারে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বৃষ্টিতে পাহাড়ধসে ৬ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলার ঝিলংজায় মৃত্যু হয়েছে মা ও দুই কন্যা শিশুর। উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মারা গেছেন ৩ ভাই।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ঘনীভূত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। লঘুচাপের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সারা দেশেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোনো কোনো স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। পাহাড়ি এলাকায় ভূমি ধসের শঙ্কা রয়েছে।