৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ক্রীড়াঙ্গনে রদবদল চলছে। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় ফেডারেশন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেখানেই রদবদল হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। এরই ধারাবাহিকতায় বিসিবির পরিচালনা পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। জানা গেছে, বুধবার তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
ফারুক আহমেদের নেতৃত্বাধীন বোর্ড সভার বেশ কয়েকটি মিটিংয়ে ছিলেন সুজন। তিনি পদত্যাগের করবেন, এমন কোন আভাসও ছিল না। হুট করেই এলো এই সিদ্ধান্ত। সুজনের পদত্যাগের বিষয়টি বিসিবির এক পরিচালক নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আজ দুপুরে সুজন তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।’
সুজন ছাড়া এর আগে বিসিবি থেকে পদত্যাগ করেছেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস, নারী বিভাগের প্রধান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও হাইপারফরম্যান্স প্রোগ্রামের প্রধান নাঈমুর রহমান দুর্জয়। বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়লেও পরিচালক পদে এখনও বহাল আছেন নাজমুল হাসান পাপন। এর বাইরে সরকার পরিবর্তনের পর বিসিবির বেশ কয়েকজন পরিচালক আছেন, যাদের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ দেশের বাইরে কিংবা কেউ নিরাপদ জায়গায় অবস্থান করছেন।
সুজন তিন মেয়াদে বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হয়েছিলেন। আগের দুই মেয়াদে (২০১৩ ও ২০১৭) পুরো মেয়াদকাল পূর্ণ করলেও শেষবার (২০২১) এক বছর আগেই পদত্যাগ করতে হলো সুজনকে। এই মেয়াদে সাবেক এই অধিনায়ক বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান ও গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। গেম ডেভেলপমেন্টের অধীনে কাজের মাধ্যমে বয়সভিত্তিক দলগুলো গড়ায় তার অবদান অপরিসীম। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপ জয়ের পেছনের নায়কও ছিলেন তিনি। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আকবররা যুব দলের বিশ্বকাপ আনতে পারেন।
সাবেক এই অধিনায়ক পরিচালক পদে থাকাকালীন বিভিন্ন সময়ে জাতীয় দলের সঙ্গেও কাজ করেছেন। টিম ডিরেক্টর, টিম ম্যানেজার কিংবা অন্তর্বর্তীকালীন কোচের ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। শুধু তাই নয়, পরিচালক পদে থেকেও বিভিন্ন ক্লাবের কোচিং করিয়েছেন তিনি। আবাহনী লিমিটেডের কোচ হিসেবে সুজন সবচেয়ে বেশি পরিচিত। সর্বশেষ বিপিএলে তিনি দুর্দান্ত ঢাকার কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নানা মাধ্যম থেকে ক্রিকেটার তুলে আনার পেছনে অনেক বড় ভূমিকা রেখেছেন সাবেক এই অধিনায়ক।