দীর্ঘদিন থেকে ভারত থেকে চোরাই পথে আসা চিনিতে সয়লাব সিলেটের বাজার। এত দিন চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মী। কিন্তু ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। এ দিন থেকেই আত্মগোপনে ‘বুঙ্গার চিনি’র এই কারবারিরা। কিন্তু তারপরও থেমে নেই সিলেট সীমান্ত দিয়ে চিনি চোরাচালান। প্রশ্ন উঠেছে- সিলেটে এখন ‘বুঙ্গার চিনি’ নিয়ন্ত্রণ করেন কারা?
অনেকেই বলছেন- এই সিন্ডিকেটে শুধু হাতবদল হয়েছে, কারবার থামেনি। প্রতিনিয়ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে এসব চিনি ধরা পড়লেও থামছে না চোরাই কার্যক্রম।
সর্বশেষ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের শাহপরান (রহ.) থানা এলাকা থেকে ৩০০ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় আটক হয়েছেন তিনজন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- সিলেটের জৈন্তাপুরের হরিপুরের রায়হান আহমদ, রাজশাহীর প্রবা খারুসা গ্রামের রতন আলী ও ট্রাকচালকের সহকারী।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, চিনির বস্তাগুলো সিলেটের জৈন্তাপুরের হরিপুর এলাকা থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এ ঘটনায় আটক তিনজনের মধ্যে দুজন এর আগেও চিনি চোরাকারবারের ঘটনায় আটক হয়েছিলেন। কারাগার থেকে বেরিয়ে আবার চোরাচালানে সম্পৃক্ত হয়েছেন তাঁরা।
সূত্রগুলো বলছে, চোরাই পণ্য সিলেটে প্রবেশ করে মূলত জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ এবং বিয়ানীবাজার উপজেলার সীমান্তবর্তী শতাধিক স্থান দিয়ে । সীমান্ত এলাকার অন্তত কয়েকশ চোরাকারবারি এ কাজে জড়িত।
তথ্যমতে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে। এ সুযোগে সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে অপর একটি পক্ষ। তারাও একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।