ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনাতলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ১৫ বছর বয়সী কিশোর জয়ন্ত কুমার সিংয়ের মরদেহ দুই দিন পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টায় ধনতলা বিওপির বিজিবি ও বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশের সদস্যদের হাতে জয়ন্তের মরদেহ তুলে দেন বিএসএফ ও ইসলামপুর থানা পুলিশের সদস্যরা।
এর আগে, সোমবার ভোরে উপজেলার ধনতলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় জয়ন্ত কুমার সিং। ছেলের মরদেহ কাঁটা তারের কাছ থেকে ফেরত আনার সময় গুলিবিদ্ধ হন জয়ন্তের বাবা মহাদেব কুমার সিং ও প্রতিবেশী দরবারু। গুলিবিদ্ধ মহাদেব ও দরবারু ফেরত এলেও জয়ন্তের মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা।
নিহত জয়ন্ত কুমার সিং ধনতলা ইউনিয়নের বটতলী ঠুমনিয়া গ্রামের মহাদেব সিং ও জয়ন্তী রাণীর ছেলে। জয়ন্ত লাহিড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
জানা যায়, ধনতলা সীমান্তের ৩৯৩ মেইন পিলার এলাকা দিয়ে দালালের মাধ্যমে ১০-১২ জন ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে বিএসএফের জোয়ানেরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজীর আহম্মেদ বলেন, ‘জয়ন্তের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সীমান্তে হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই কাম্য নয়। জয়ন্তের বিষয়টি জানার পরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করে আমরা বাংলাদেশের হয়ে কড়া জবাব দিয়েছি। বিজিবি কখনও ছাড় দেয়নি ভবিষ্যতেও দেবে না। সেই সঙ্গে বাংলাদেশিদের সীমান্ত এলাকায় না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন এই কর্মকর্তা।