সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় নগরীর শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম, আশরাফুল আলম আরিফসহ শাহজালার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ( শাবিপ্রবি) সমন্বয়ক এবং সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্ররা উপস্থিত ছিল।
আয়োজকেরা জানায়, দেশ গঠনে শিক্ষার্থীদের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত এবং দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘ছাত্র জনতার মৈত্রী সফর’ উপলক্ষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে।
মতবিনিময় সভা শুরু করার আগে শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের স্লোগানে মিলনায়তন মুখরিত করে। অনেক শিক্ষার্থী পরিবেশন করে দেশাত্মবোধক গানও।
সভায় বক্তারা বলেন, ‘বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। ভারতের হঠাৎ করে বাঁধ ছেড়ে দেওয়ায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতিতে ধর্ম–বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এগিয়ে এসেছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনগণ মন্দির-মসজিদের টাকা বন্যার্তদের দান করে সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’ এ সম্প্রীতি টিকিয়ে রাখার আহ্বান জানান তারা।
গণঅভ্যুত্থানে পাওয়া বিজয়কে দ্বিতীয় স্বাধীনতা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের কাছ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। ভারতের সঙ্গে হওয়া সকল অন্যায্য চুক্তি বাতিল করতে হবে। ভারতের সম্পর্ক হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘এতদিন দেশ স্বৈরাচারের দখলে ছিল। ছাত্র জনতা আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করেছে। এখন নতুন একটি দেশ গড়ার পালা। নতুন বাংলাদেশ হবে সব ধরনের বৈষম্যমুক্ত। দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের কোনো স্থান হবে না নতুন বাংলাদেশে।’
এসময় বক্তারা আন্দোলনে নিহতদের স্মৃতিচারণের পাশাপাশি আন্দোলন দিনের নানা ঘটনার কথা তুলে ধরেন।
পরে এক শপথবাক্য পাঠ করেন উপস্থিত ছাত্র জনতা। শপথবাক্য পাঠ করান কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম।