ডেস্ক নিউজ : সিলেটেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। বন্যার কারণে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দেন।’
‘নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘কারখানা বাজার, পূর্বগাঁও থেকে মলুয়া পর্যন্ত যাতে বাঁধ দেযা যায়, সেজন্য আমরা চেষ্টা করবো। আমি সব জায়গায় নির্দেশ দিয়েছি। যেখানে স্কুলঘর বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, শুকানোর সঙ্গে সঙ্গে তারা দ্রুত জানাবেন, আমরা সঙ্গে সঙ্গে মেরামত করে দেব। কোনো দেরি করবো না’। মৌলভীবাজারের উঁচু এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করলেও দুর্ভোগ কমেনি বন্যাকবলিত মানুষের। তবে নতুন করে রাজনগর উপজেলার কালারগুল এলাকার বেড়িবাধে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এতে প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি গ্রাম। এদিকে, সিলেটের ৪ উপজেলায় ঢুকে পড়েছে বন্যার পানি। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এখনো কমেনি বন্যার্তদের দুর্ভোগ। আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ফিরে বিধ্বস্ত বাড়িঘর দেখে নির্বাক তারা,চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বন্যার ভয়াবহতা। ভাঙা ব্রিজ, সড়কের এখানে সেখানে বিশাল গর্ত, মাটিতে মিশে যাওয়া বসতঘর, নষ্ট হয়ে যাওয়া ফসল হাহাকার গ্রামবাসীর মধ্যে।’
‘এদিকে মঙ্গলবার সকালে নতুন করে রাজনগর উপজেলার কালারগুল এলাকার বেড়িবাধে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এতে প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি গ্রাম। বন্ধ রয়েছে কুলাউড়ার চাতলাপুর স্থলবন্দর।’ গত এক সপ্তাহে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে সুরমা কুশিয়ারা এবং মনু নদীর পানি বেড়ে মৌলভীবাজার ও সিলেট ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ।’

বার্তা বিভাগ প্রধান