ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি আনন্দ উচ্ছাসে মেতে উঠতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নানা বয়সী মানুষ ছুটছেন সাগর কন্যা কুয়াকাটায়। অশান্ত সমুদ্রে ও বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান বাড়িয়ে দেয় পর্যটকদের ঈদের আনন্দ।’ পর্যটন সংস্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের পরে পর্যটকদের চাপ বাড়ায় লাভবান তারা। আর আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে দাবি টুরিষ্ট পুলিশের।’ কর্মব্যস্ততার ব্যস্ততা থেকে মুক্তি পেতে ঈদের ছুটিতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে হাজারো মানুষ ছুটে আসছেন সমুদ্র কন্যা কুয়াকাটায়। গরমের তীব্রতা ও সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ মুহুর্তেই সব বয়সী পর্যটকদের আকর্ষিত করে সমুদ্র স্নানে।’ সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা সবার।’ আনন্দের এ ক্ষণস্থায়ী মুহূর্তকে ছবির ফ্রেমে বন্দি করছেন অনেকেই।’ অনেকেই আবার প্রিয় সঙ্গীকে নিয়ে হাঁটছেন সৈকতে। আর ঘোড়ার পিঠে বসার বা’য়না সব শিশুদের। সব মিলিয়ে এখানে আসা পর্যটকদের ঈদের আনন্দে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে কুয়াকাটা। ঘুরতে আসা এক নারী জানান, ‘সমুদ্রে গোসল করা, কাকড়া দেখা, সূর্যাস্ত দেখা- সবকিছু মিলিয়ে কুব ভালো লেগেছে।’ এদিকে ঈদের পর দিন থেকে বাড়তে শুরু করেছে দুর দুরন্তের পর্যটক। আর সেই সাথে বেড়েছে সমুদ্র পাড়ের পর্যটন সংস্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের বেচাকেনা।
এক ব্যবসায়ী জানান, কমবেশি লোক আসছে। বেচাকেনা অনেক ভালো আগের চেয়ে।’
কুয়াকাটার হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলো কানায় কানায় পূর্ণ। অনেকেই হোটেলে রুম খালি নেই নোটিশও লাগিয়েছে।
এক হোটেল মালিক জানান, আশানুরূপ গেস্ট এসেছে। এবং আজ বেশ ভালো অনুপাতের গেস্ট এখানে হাজির হয়েছে।
আরেকজন জানান, ঈদের পরদিন থেকেই আমাদের যে টার্গেট, সেটা মোটামুটি মেকাপ হয়ে গেছে।’পর্যটকদের এ চাপ যতোদিন থাকবে টুরিস্ট পুলিশের বাড়তি নিরাপত্তা ততোদিন থাকবে রাখা হবে বলে জানান টুরিস্ট পুলিশ পরিদর্শক মোঃ খলিলুর রহমান।
তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত কোনো পর্যটক আমাদের কাছে কোনো বিষয়ে অভিযোগ করেনি। আমরা আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় যথেষ্ট সচেষ্ট রয়েছি।’বর্তমানে কুয়াকাটায় পর্যটন স্পট আছে ১৩টি,এর মধ্যে ৭টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সূত্র: সময় টিভি