ছাত্রলীগ হলে অবস্থান নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে- এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকাবাসীর আল্টিমেটামের মুখে সোমবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যার মধ্যে হল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা।
বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকালে প্রেসি ব্রিফিং করেছেন ছাত্র-আন্দোলনের সমন্বয়করা। তাদের বক্তব্য- এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আসলে হলে ছাত্রলীগ নয়, সাধারণ শিক্ষার্থীরাই ছিলেন।
বেলা আড়াইটায় শাবি ক্যাম্পাসে প্রেস ব্রিফিংয়ে সদ্যসমাপ্ত ছাত্র-আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও শাবিছাত্র আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন- ভার্সিটি হলে আবারও ছাত্রলীগ অবস্থান নিয়েছে- ফেসবুকে এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনসাধারণ সোমবার বিকালে লাঠিসোঁটা নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন। এসময় তারা সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার আল্টিমেটাম দেন।
এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সমন্বয়ক ও শিক্ষকরা এলাকাবাসীকে বুঝানোর চেষ্টা করলেও কাজ হয়নি। এক পর্যায়ে নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে হল ছাড়তে বাধ্য হন শিক্ষার্থীরা। স্বায়ত্তশাসিত একটি প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা।
সমন্বয়করা প্রেস ব্রিফিংয়ে অভিযোগ করে বলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন না থাকায় প্রায়ই দুর্বৃত্তরা ক্যাম্পাসে অনুপ্রবেশ করে মোটরসাইকেল শোডাউন করে। এতে শিক্ষার্থীরা শঙ্কিত হন এবং এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে দ্রুত ভিসি ও প্রশাসন নিয়োগের দাবি সমন্বয়কদের।
হলগুলোতে শিক্ষার্থী ফিরে আসার বিষয়ে আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন- এ বিষয়ে দ্রুত আমরা আলোচনা করবো এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানে যাওয়ার চেষ্টা করবো। আমরা চাই- এলাকাবাসীর সঙ্গে আমাদের যেন কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হোক। স্বৈরাচার হাসিনা পতনের আন্দোলনে এলাকাবাসী আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন- এটি আমরা কখনো ভুলবো না।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের গত ১০ আগস্টে শাবিপ্রবি’র ভিসি, প্রো-ভিসি ও সকল হলের প্রভোস্ট পদত্যাগ করেন। এরপর থেকেই কার্যত অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।