বানভাসি মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক সকল সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন উদ্যোগে অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও ব্যক্তি উদ্যোগে এবং ডিপার্টমেন্ট ভিত্তিক উদ্যোগে অর্থ সংগ্রহ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘গণত্রাণ সংগ্রহ’ কর্মসূচিতে জমা দিতে দেখা যায়।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) প্রথম দিনের মতো এ কার্যক্রম শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এরিয়া, বিভিন্ন মসজিদ,পাবনা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে, অর্থ সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করেন। গতকাল জুম্মার নামাজ শেষে পাবনা শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা উত্তোলন করেন।
শনিবারও (২৪ আগস্ট) পাবিপ্রবি ক্যাম্পাস সহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অর্থ সংগ্রহ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক সংগঠন ‘জোনাকির’ উদ্যোগে ক্যাম্পাসের লাইব্রেরি ভবনের নিচে শুকনা জামাকাপড় সহ “ত্রাণ সংগ্রহ “বুথ খোলা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরাসহ পাবনার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ মানুষ ভ্যান, অটোরিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়িতে শুকনো খাবার নিয়ে আসছেন। শুকনো খাবারের মধ্যে রয়েছে খই, চিড়া, মুড়ি, গুড়, চানাচুর ও বিস্কুট ইত্যাদি।এসব খাবার মজুদ করে রাখছেন ৪০-৫০ জনের একটি স্বেচ্ছাসেবী দল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিরাজ বলেন, প্রথমবারের মতো পাবিপ্রবির সব সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা একত্রে কাজ করছে,আমরা আমাদের সংগৃহীত তহবিল বন্যার্তদের পুনর্বাসনে কাজে লাগাতে চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী মামুন বলেন, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে পাবিপ্রবি এক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, সকল সামাজিক সংগঠনসমূহ একটি প্ল্যাটফর্মে এসে দাড়িয়েছে। একটাই উদ্দেশ্য সাধ্যানুযায়ী বন্যা কবলিত এলাকার অসহায়-দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো। পাবিপ্রবি এমন একতা ইতিপূর্বে দেখা যায়নি। ক্যাম্পাসে এই কাজে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এটি উপভোগ্য, শত কষ্টের মাঝেও এটি একটি অন্য রকম আমেজ তৈরি করেছে।
প্রতিনিধি