অতিবৃষ্টি ও পাগাড়ি ঢলে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার সীমান্তবর্তী কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে ঘন্টায় ১ সে: মি: পানি বাড়ছে। এতে বিপদসীমার ১০ সে:মি: উপর দিয়ে পানি প্রভাহিত হচ্ছে বলে জানিছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর বক্স। তিনি বলেন, কুশিয়ারা নদীর পানি আরো বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
জানা গেছে, তৃতীয় ধাপে বন্যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। অতিবৃষ্টি ও পাগাড়ী ঢলে বৃদ্ধি পেয়েছে কুশিয়ারা নদীর পানি। বৃস্পতিবার সকাল থেকেই কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন সাদিপুররের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাট সহ তলিয়ে গেছে কয়েকটি গ্রাম। সাদীপুর ইউনিয়নের খছরুপুর, ধরখা, মিরপুর, দক্ষিণ খছরুপুর, কুরপুর গ্রামে বেশ কয়েকটি পরিবার পানি বন্দি অবস্থায় রয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছেন পানিবন্দি মানুষ। পরিবাদেরর সদস্য, গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ও গবাধি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পানিবন্দি প্রায় শতাধিক পরিবার। অব্যাহত ভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আতংকে রয়েছেন সাদীপুরসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপমা দাস জানান, গেল বন্যা ৭৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলো। সেভাবে আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্তা করা হচ্ছে। সাদীপুর ইউনিয়নে বন্যার্থ ১০/১২ টি পরিবার সাদীপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন। আমরা খাবারের ব্যবস্থা গ্রহন করছি।