Home » সকালে শপথ, দুপুরে অপসারণ

সকালে শপথ, দুপুরে অপসারণ

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয় পেয়েও শপথ নিতে পারেননি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা মোকাররম হোসেন সুজন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা শেষে সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শপথ নেন তিনি। শপথ গ্রহণ করার কয়েক ঘণ্টা পরই স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে উপ-সচিব মো. আকবর হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন জারি হয়। সেই প্রজ্ঞাপনে দেশের ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যানকে স্ব স্ব পদ থেকে অপসারণ করা হয়। ওই তালিকায় গঙ্গাচড়া উপজেলার নামও ছিল।

জানা গেছে, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে সোমবার শপথ গ্রহণ করেন মোকাররম হোসেন সুজন। সকালে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান বিভাগীয় কমিশনার মো. জাকির হোসেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে , গত ২৯ মে তৃতীয় ধাপে গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লাীগের সভাপতি রুহুল আমিনকে ৮৩৩ ভোটে পরাজিত করেন মোকাররম হোসেন সুজন। ৪ জুন গেজেট প্রকাশিত হয়। ৩ জুলাই শপথের দিন ধার্য করা হয়। তবে, ১৩ জুন নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে শপথের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল জেলা যুগ্ম জজ আদালত-১ এ মামলা করেন পরাজিত প্রার্থী রুহুল আমিন। ২৩ জুন শপথের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন আদালতের বিচারক মো. আব্দুল মালেক। গত ১৪ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে শপথ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

হাইকোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে গতকাল রোববার রংপুর বিভাগের স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আজ সকালে গঙ্গাচড়া উপজেলা চেয়ারম্যানের শপথ গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। সেই নির্দেশের আলোকে সোমবার শপথ নেন মোকাররম হোসেন সুজন। কিন্তু শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর অপসারণ করায় তার চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালনের স্বপ্ন ভেঙে যায়।

এ বিষয়ে জানতে মোকাররম হোসেন সুজনের মুঠোফোন নম্বরে কলা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে মোকাররম হোসেন সুজন ২৯ হাজার ৪১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়াম্যান নির্বাচিত হন। দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি তাকে বহিষ্কার করেছিল।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *