Home » ঢাবির রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে ‘অভিযানে’ গিয়ে দেখল বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীই অনুপস্থিত

ঢাবির রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে ‘অভিযানে’ গিয়ে দেখল বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীই অনুপস্থিত

অনলাইন সংস্করণ: দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময় সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রশাসনিক ভবনের (রেজিস্ট্রার বিল্ডিং) অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টা দুয়েক আগে অফিস ছেড়ে চলে গেছেন। আজ রবিবার (১৮ আগস্ট) বেলা ৩টার পর মাস্টার দা সূর্য সেন হলের শিক্ষার্থীরা মৌখিক ও শুদ্ধি অভিযান চালালে বিষয়টি ধরা পড়ে।

জানা যায়, লাল ফিতার দৌরাত্ম্য ঘুচাতে ওই হলের শতাধিক শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের নিচ তলা ও দোতলার প্রত্যেকটা রুমে গিয়ে অভিযান চালায়। তবে অভিযান চালানোর সময় সেখানে বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীই অনুপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন তারা। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা অনুপস্থিত থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসার চেয়ারগুলো উলটো করে রাখেন।

এসময় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে তারা বলেন, এরপর থেকে যৌক্তিক কারণ ছাড়া কেউ যেন অফিসে অনুপস্থিত থাকলে রুমগুলো তালা লাগিয়ে দেওয়া হবে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে।এসময় উপস্থিত সূর্য সেন হলের শিক্ষার্থী আজিজুল হক বলেন, আজকে আমরা রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে অভিযানে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখি অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী অফিসে অনুপস্থিত ছিল। অনেকেই দুপুর দুইটা পর্যন্ত ডিউটি করে চলে গেছেন।

তিনি বলেন, আমরা গিয়ে যে চেয়ারগুলো ফাঁকা পেয়েছি সেগুলো পাশে সরিয়ে রেখে নীরব প্রতিবাদ করেছি। যাতে উনারা শুদ্ধ হয়ে যান। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ওখানে গিয়েছি এবং শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের প্রোগ্রাম শেষ করেছি।

তিনি আরও বলেন, আজ আমরা মৌখিক কর্মসূচি দিয়েছি, পরবর্তীতে যদি আবার ভোগান্তি সৃষ্টি হয় তাহলে আমরা রেজিস্ট্রার বিল্ডিং ঘেরাও করবো। আজকে আমরা শুধু শুদ্ধি অভিযান দিয়েছি, মৌখিকভাবে তাদের সাথে শুধু কথা বলেছি।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার বলেন, আমি আগে থেকেই অসুস্থ। এজন্য আগাম অবসরের আবেদনপত্র দিয়েছি। তবে অফিস সময় সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা, এর আগে অফিস থেকে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী চলে যাওয়াটা অনুচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ভিসির পদ শূন্য থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজে এক ধরনের স্থবিরতা চলছে। তাছাড়া প্রশাসনের বাকি শীর্ষ পদে যারা আছেন, তারাও নিয়মিত অফিস করছেন না। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তাই হয়তো রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস সময়ের আগে কর্মস্থল ত্যাগ করছেন।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *