Home » ‘অন্ধকার ইতিহাস’ নিয়ে হাজির হবেন কঙ্গনা

‘অন্ধকার ইতিহাস’ নিয়ে হাজির হবেন কঙ্গনা

বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত এখন বিজেপির সংসদ সদস্য। আর সংসদে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর নায়িকার প্রথম রিলিজ হতে চলেছে ‘এমার্জেন্সি’।
এ ছবিতে দেশের প্রথম ও একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় দেখা যাবে কঙ্গনাকে। শুধু লিড অভিনেত্রী নন, কঙ্গনা এই ছবির পরিচালক ও প্রযোজক। ইন্দিরার লুকে আগেই চমকে দিয়েছিলেন কঙ্গনার, ছবির ট্রেলারেও কঙ্গনার ওপর থেকে চোখ সরানো দায়। আপনি কঙ্গনার ভক্ত হন কিংবা না হন, কিন্তু তার অভিনয়ের ভক্ত আপনাকে হতেই হবে!

‘গণতান্ত্রিক ভারতের অন্ধকারতম সময়ের’ ঝলক হিসেবে এমার্জেন্সি পিরিয়ডকে ছবির ট্রেলারে তুলে ধরা হয়েছে। ১৯৭৫ সালের জুন মাসে দেশে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, একটানা ২১ মাস দেশে জরুরি অবস্থা জারি ছিল। বলা হয়, কুর্সি বাঁচাতে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেন নেহেরু কন্যা। সেই বিতর্কিত অধ্যায়ই এবার রুপোলি পর্দায়।

ইমার্জেন্সি ট্রেলারে দেখানো হয়েছে, রাজনীতিতে পা রাখার পর বাবা তথা প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর সঙ্গে ইন্দিরার সম্পর্ক, কেমনভাবে ‘বোবা পুতুল’-এর তকমা ছেড়ে ধীরে ধীরে রাজনীতির রশি নিজের হাতে তুলে নেন ইন্দিরা। সেই সময়ের রাজনৈতিক অস্থিরতার টুকরো টুকরো ঝলক উঠে এসেছে ট্রেলারে।

সম্প্রতি নির্মাতারা পিরিয়ড ছবিটির নতুন মুক্তির তারিখ উন্মোচন করেছেন। কঙ্গনার নির্বাচনি প্রচারণার কারণেই সিনেমার রিলিজ ডেট পিছানো হয়েছিল। হিমাচল প্রদেশের মান্ডিতে লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর, অভিনেত্রী একটি পোস্টারসহ তার আসন্ন চলচ্চিত্রের মুক্তির তারিখ ঘোষণা করেছিলেন। চলতি বছর ৬ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে এমার্জেন্সি।

অনুপম খের, মহিমা চৌধুরী, মিলিন্দ সোমান, শ্রেয়াস তালপাড়ে, বিষক নায়ার এবং প্রয়াত সতীশ কৌশিকসহ একাধিক দুঁদে অভিনেতারা থাকছেন এই ছবিতে।

‘এমার্জেন্সি’ প্রসঙ্গে কঙ্গনা এর আগে বলেন, ‘জরুরী অবস্থা আমাদের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও অন্ধকারতম অধ্যায়, যেকথা তরুণ ভারতের জানা দরকার। এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ গল্প। আমি প্রয়াত সতীশজি, অনুপমজি, শ্রেয়াস, মহিমা এবং মিলিন্দের মতো অত্যন্ত প্রতিভাবান অভিনেতাদের সঙ্গে এই সৃজনশীল যাত্রা শুরু করি, এজন্য সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ভারতের ইতিহাসের এই অসাধারণ পর্বটি বড় পর্দায় আনতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। জয়হিন্দ!’

সম্প্রতি ভ্যারাইটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জীবনকে শেক্সপিয়ারের ট্র্যাজেডির সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘তার জীবন ছিল শেক্সপিয়ারের লেখা ট্র্যাজেডির মতো। এটা বিচার বা মূল্যায়ন করা আমাদের কাজ নয়। লোকেরা যখন ছবিটি দেখবে তখন তারা বুঝতে পারবে যে এটি জরুরি অবস্থার বিষয়ে এত সৎ পদক্ষেপ, কী কারণে এটি ঘটেছিল এবং শেষ পর্যন্ত তার ফল কী হয়েছিল’। কঙ্গনা আগে স্পষ্ট করেছেন এই ছবি ইন্দিরার বায়োপিক নয়। ছবির ট্রেলার দেখে ভক্তদের মতে, কঙ্গনার পাঁচ নম্বর জাতীয় পুরস্কার কার্যত পাকা।

খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *