৫০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. তৌহিদুর রহমান বলেছেন, বিজিবি এর আগেও সীমান্তের মানুষের পাশে ছিল, এখনো আছে, আগামীতেও থাকবে। তিনি বলেন, বর্তমানে সীমান্ত একেবারে শান্ত। মানুষের জানমাল রক্ষার্থে দিনরাত আমাদের পক্ষ থেকে টহল অব্যাহত। আতঙ্কিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা অনেক মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন।শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের আটোয়ারী উপজেলার বালিয়া সীমান্ত ফাঁড়ি পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড জেলার বেশকিছু সীমান্তবর্তী এলাকার ‘মাইনরিটি’ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছিল। নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা কাজ করায় তারা বিজিবি ক্যাম্পের আশপাশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তবে সীমান্তে সীমান্তে বিজিবির সার্বক্ষণিক টহলে স্বস্তি ফিরেছে তাদের মাঝে।এ অবস্থায় বালিয়া সীমান্ত ফাঁড়ি পরিদর্শন করেন কর্নেল মো. তৌহিদুর রহমান। তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষদের সঙ্গে আমরা দেখা করেছি। তারা একেবারে নিরাপদে রয়েছেন। তারা বিভিন্ন জায়গায় কিছু ঘটনার কথা শোনায় কিছুটা আতঙ্কে ছিলেন। সে কারণে তারা আমাদের ক্যাম্পের আশপাশে অবস্থান নিয়েছিলেন।
এ সময় আলোয়া খাওয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য দীপ চন্দ্র সিংহ বলেন, ‘বর্তমানে আমরা বিজিবির সহযোগিতা পাচ্ছি। আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, এই মাঠেই বিজিবি কথা দিয়েছিল আমরা যেভাবে সহযোগিতা চাইবো তারা সেভাবেই আমাদের সহযোগিতা করবে। বর্তমানে তারা অনেক সহযোগিতা করছেন। যেকোনো মুহূর্তে আমি যদি ফোন দেই বা এলাকার যে কেউ ফোন দিলেই তারা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।’স্থানীয় বাসিন্দা চিত্রানি রানি বলেন, ‘আমার এই দেশেতে জন্ম হয়েছে, এই দেশেতেই বড় হয়েছি, এই দেশেই মরবো। আমরা দেশ ছেড়ে ভারত যাবো না। আমাদের এই এলাকা একেবারে শান্ত। আমাদের এলাকায় কোথাও বাড়িঘরে আগুন দেওয়া বা ভাঙচুর হয়নি।
শুনতেছি দূরে কোথায় জানি হামলা হচ্ছে, এমনটা। আমাদের এলাকার কেউ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারত যেতে চাননি। দূর থেকে লোক এসে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারত যেতে চেয়েছিল। আমাদের এখানে কোনো সমস্যা নেই। আমরা এখানে এখন পর্যন্ত শান্তিতেই আছি। তবে শুনছি দেশের অবস্থা নাকি ভালো না।’পরিদর্শনকালে ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজির আহমদ, সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান চৌধুরী, কোম্পানি কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. জসিম উদ্দিনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি