মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে চলমান সংঘাতের কারণে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে বাহিনীটির ১৬ সদস্য আশ্রয় নিয়েছে। এ নিয়ে নতুন করে বাংলাদেশে মোট আশ্রয়প্রার্থী দাঁড়াল ১৯৬ সেনা ও বিজিপি সদস্য।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের দুই সেনা সদস্য পালিয়ে আসে। আগের দিন রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যংয়ের খারাংখালী সীমান্ত অতিক্রম করে আসে পাঁচ সেনা সদস্য। একই দিন সকালে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ঝিমংখালী ও খারাংখালী সীমান্ত দিয়ে আরও নয়জন বিজিপি সদস্য পালিয়ে আসে। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত দুই দিনে টেকনাফ ও বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে মোট ১৬ জন পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এ ১৬ জনের সবাইকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওখানে আগে থেকে ১৮০ জন আশ্রয়রত রয়েছে। এ নিয়ে মোট ১৯৬ জন ওখানে রয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন সেনা এবং বাকিরা বিজিপি সদস্য। তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আলোচনা চলছে। আগামী সপ্তাহে তাদের ফেরত পাঠানো হতে পারে।
এর আগে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল আরও ৩৩০ জন। তাদের ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
বার্তা বিভাগ প্রধান