বান্দরবানের রুমা উপজেলার বেথেলপাড়ায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও দুই সক্রিয় সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) যৌথ বাহিনীর তল্লাশি অভিযানে তাদের আটক করা হয়। এ নিয়ে কেএনএফের সাতজন ও রুমা শাখার সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ারসহ আটজনকে আটক করা হয়েছে।
রুমা সেনা জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কেএম আরাফাত আমিন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রুমা সেনাবাহিনীর অভিযানে বেথেলপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ৭টি দেশি বন্দুক, ২০টি রাউন্ড গুলি, কেএনএফের পোশাক, ল্যাপটপ, একজোড়া বুট, ১টি ছুরিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে কেএনএফের আরও দুই সদস্যসহ সন্দেহভাজন হিসেবে রুমা সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ারকে আটক করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, রুমা-থানচিতে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের তাণ্ডবের ঘটনায় রুমা-থানচিতে ৮টি মামলা হয়েছে। তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িতদের ধরতে সেনাবাহিনী-র্যাব-পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান চলছে রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি ও আলীকদম উপজেলায়।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, থানচি থেকে একজন এবং রুমা থেকে ছয়জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। এর আগে সদরের শ্যারণ পাড়া থেকে কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ককে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে সেনাবাহিনী-র্যাব-পুলিশের পৃথক অভিযান এ পর্যন্ত আটজনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে কেএনএফ তাণ্ডবের ঘটনায় বান্দরবান জেলাজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের সাঁজোয়াযানসহ বিভিন্ন ধরনের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
অপরদিকে রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি উপজেলায় ব্যাংক বন্ধ থাকায় বান্দরবান জেলা সদরে সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় গ্রাহকের ভিড় বেড়েছে। ভোগান্তিতে গ্রাহকরা।
বার্তা বিভাগ প্রধান