ঈদ উৎসবে বিনোদন অঙ্গনও প্রাণ ফিরে পায়। হলে যেমন সিনেমার উৎসব চলে, টিভি চ্যানেলগুলো আয়োজন করে বিশেষ অনুষ্ঠানের; তেমনি নাটকপাড়াও হয়ে ওঠে জমজমাট। এবার ঈদ উপলক্ষে মঞ্চে নতুন প্রযোজনা নিয়ে আসছে আরণ্যক নাট্যদল। ‘কম্পানি’ নামের এ নাটকের রচনা ও নির্দেশনায় আছেন মামুনুর রশীদ। ঈদের দিন থেকে টানা পাঁচ দিন রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে প্রদর্শিত হবে ‘কম্পানি’।
‘কম্পানি’ নাটকের প্রেক্ষাপট ১৭৪৪ থেকে ১৭৫৭ সাল সময়কাল পর্যন্ত। মামুনুর রশীদ বলেন, ‘আরণ্যক সব সময় বড় ক্যানভাস ও বিশাল কর্মিবাহিনী নিয়ে নাটক করে। আমাদের রাঢ়াঙ, সংক্রান্তি, জয়জয়ন্তী যেমন ছিল। একটি জনগোষ্ঠী নিয়ে আমরা নাটক করে থাকি।কম্পানিও একটি বড় ক্যানভাসের নাটক, যার সূচনা ১৭৪৪ সাল, ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ার কাউন্টি থেকে। নাটকটি শেষ হবে ১৭৫৭ সালের জুন মাসে। একদিকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের চারদিকে ছড়িয়ে পড়া, তাদের ভারতবর্ষে চলে আসা। ক্লাইভের সঙ্গে নবাব সিরাজউদ্দৌলার যে সংঘাত এবং তার ফলে বাংলা তার স্বাধীনতা হারায়। এই সময়টার মধ্যে যে ষড়যন্ত্র, উত্থান-পতন এগুলোকে দেখিয়েছি।
তার ধারাবাহিকতায় উত্তর ঔপনিবেশিক যে পরিস্থিতি, তার যে মানসভূমি, সেটাকেও ধরার চেষ্টা করা করেছি এ নাটকে।কম্পানি নাটকটি আড়াই শ বছরের বেশি সময় আগেকার প্রেক্ষাপটে হলেও এটি এ সময়েও প্রাসঙ্গিক বলে জানালেন নির্দেশক। মামুনুর রশীদ বলেন, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি একটা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, সেই থেকে শুরু করে যে হাতবদলগুলো হয় ক্ষমতার, তার পেছনেও ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি—সবকিছু যুক্ত থাকে। আমরা এটাই দেখাতে চাই যে এখনো সারা বিশ্বেই একটা কোম্পানির শাসন চলছে। এ কারণেই এর প্রাসঙ্গিকতা আমরা খোঁজার চেষ্টা করেছি।ঈদের দিন সন্ধ্যা ৭টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে হবে কম্পানি নাটকের প্রথম প্রদর্শনী। টানা পাঁচ দিন একই সময় ও স্থানে দেখা যাবে নাটকটি। আরণ্যক সদস্যরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কম্পানির মহড়া নিয়ে। নির্দেশক জানিয়েছেন, আরণ্যকের পুরোনো ও নতুন সদস্যরা অভিনয় করছেন এতে।
প্রতিনিধি