ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। জিম্মি জাহাজে থাকা ২৩ জনই বাংলাদেশি। তাদের একজন ইঞ্জিনিয়ার তৌফিকুল ইসলাম। তিনি খুলনা মহানগরীর বয়রার বাসিন্দা।
জিম্মি হওয়ার পর দুবার স্ত্রী ও মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তৌফিকুল। তিনি জিম্মি জাহাজটির সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকাল ৫টার দিকে মায়ের কাছে দোয়া ও ক্ষমা চান তিনি। এ সময় তার মোবাইল ফোন নিয়ে যায় জিম্মিকারীরা। এরপর থেকে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি পরিবারের। বর্তমানে তার পরিবারে শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে।
ইঞ্জিনিয়ার তৌফিকুল ইসলামের মা দিল আফরোজ জানান, জাহাজ থেকে গোপনে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে দোয়া চেয়েছেন তৌফিক। মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে তার সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়। এ সময় জলদস্যুরা তার ফোনটি কেড়ে নেয়।
খুলনা মহানগরীর বয়রার করিমনগর এলাকার ২০/১ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা মো. ইকবালের তৃতীয় সন্তান তৌফিকুল ইসলাম। এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা তিনি।
তৌফিকের স্ত্রী জুবায়দা নোমান বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকালে শাশুড়ি মায়ের সঙ্গে কথা বলে তৌফিকুল। এর আগে বেলা ২টার দিকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ হয় তার। এ সময় তৌফিক জলদস্যুদের কবলে পড়ার বিষয়টি মা-বাবাকে জানাতে নিষেধ করেন। একই সঙ্গে তার জন্য দোয়া করার কথাও বলেন।’
উল্লেখ্য, ২০০৮ সাল থেকে বিভিন্ন জাহাজে চাকরি করছেন তৌফিক। তার বড় দুই ভাই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তৌফিক লেখাপড়া শিখে সাগরে ঘুরে বেড়ানোর চাকরি নেন। ‘এমভি আবদুল্লাহ’য় যোগদান করেন ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে। ছয় মাসের জন্য ওই জাহাজে চাকরি নিয়েছিলেন তিনি।
বার্তা বিভাগ প্রধান