Home » সিসিক মেয়র ‘প্রতিশ্রুত’ এক মাস পার, তারপর

সিসিক মেয়র ‘প্রতিশ্রুত’ এক মাস পার, তারপর

সিসিক মেয়র ‘প্রতিশ্রুত’ এক মাস পার হয়েছে ১৬ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু হকাররা রয়েছে হকারদের জায়গায়ই। তবে সিসিক কর্তৃপক্ষ বলছে- মহানগরের লালদিঘীরপাড়ে স্থায়ী পুনর্বাসন করা হচ্ছে হকারদের। তাদের গলি ও শেড তৈরি করে দেওয়া হবে। এ কাজ টেন্ডার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। রমজানের মধ্যে হকারদের পুরোপুরে সেখানে পুনর্বাসন করা হবে।

সিলেট মহানগরের প্রধান সমস্যা হকার। সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান থেকে শুরু করে আরিফুল হক চৌধুরীর সময়েও ছিল বড় চ্যালেঞ্জ- হকার উচ্ছেদ। কিন্তু কেউই সমাধান করতে পারেননি। অবশ্য আরিফুল হক চৌধুরী নগরভবনের পেছনের লালদিঘীর পাড়ে ‘হলিডে’ মার্কেট চালু করেছিলেন। সেখানে হকাররা গিয়েছিলেনও। কিন্তু কয়েক মাসের মাথায় তারা চলে আসেন ফের সড়ক ও ফুটপাতের উপর। আরিফের দায়িত্ব পালনের শেষ সময় থেকে ফের চরম পর্যায়ে ফুটপাত দখলে নেন হকাররা। বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের নির্বাচনী ইশতেহারেও হকার উচ্ছেদের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আগের তুলনায় হকারের সংখ্যা আরও বেড়ে যায়।

প্রতিদিনই সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মহানগরের প্রাণকেন্দ্র বন্দরবাজার-জিন্দাবাজার-চৌহাট্টার বিভিন্ন সড়কে ফুটপাত ছাড়িয়ে সড়কের অর্ধেকেরও বেশি অংশ হকারদের দখলে থাকে। ভ্রাম্যমাণ কাপড় বিক্রেতা ছাড়াও মাছ এবং সবজি বিক্রেতারাও বসেন সড়ক-ফুটপাতে। খোদ নগরভবনের সামনের অংশ সবজি ও মাছ বিক্রেতারা দখল করে রাখে প্রতিদিন। রাতের বেলা বিদ্যুতের আলোরও সুবিধা পান এসব অবৈধ ব্যবসায়ী।

তবে আসন্ন রমজান মাস চলাকালেই মহানগরের সব হকার ফের লালদিঘীর পাড়ের ‘হলিডে’ মার্কেটে নিয়ে যাওয়া হবে বলে সিলেটভিউ-কে জানিয়েছেন সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সিলেটভিউ-কে বলেন- হকারদের স্থায়ী পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করছে সিসিক। আর এ জন্য লালদিঘির পাড়ে বেশ কিছু কাজ করতে হচ্ছে। সে কাজের টেন্ডার হয়ে গেছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হয়ে যাবে। সেখানে যাতে বৃষ্টিতে ক্রেতা-বিক্রেতাদরে ভোগান্তি পোহাতে না হয় সেজন্য মাটি দিয়ে গলিগুলো উঁচু করে শেড বানিয়ে দেওয়া হবে। আশা করছি- রমজানে বিনা ভোগান্তিতে ফুটপাত ও সড়কে নগরবাসী এবং পথচারীরা হাঁটতে পারবেন।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *