Home » অবশেষে মুক্ত এমসি অধ্যক্ষ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত

অবশেষে মুক্ত এমসি অধ্যক্ষ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর অবশেষে মুক্ত হলেন সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল আনাম মো. রিয়াজ। বৃহস্পতিবার ( ৮ ফেব্রুয়ারি) রাত নয়টার দিকে অধ্যক্ষের কার্যালয়ের তালা খুলে দেন আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এরআগে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক সংকট, ছাত্রাবাসের বঙ্গবন্ধু হলের পানি সমস্যা ও ছাত্রী নিবাসের নাম বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নামকরণের দাবিতে অধ্যক্ষকে অফিসে অবরুদ্ধ রেখে বাইরে তালা দেয় শিক্ষার্থীরা। এসময় ‘অধ্যক্ষ- ভুয়া ভুয়া’ বলে শ্লোগান দেয় আন্দোলনকারীরা।

জানা গেছে, বিকেল সাড়ে চারটার থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে উঠে এমসি ক্যাম্পাস। অধ্যক্ষ দীর্ঘ চার ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাজমুল ইসলামের মধ্যস্ততায় শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে রাজি হন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

রাত সাড়ে আটটার দিকে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সিলেট সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রুহেল আহমদ, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাজমুল ইসলাম, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা দিলোয়ার হোসেন রাহীসহ পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। প্রায় ৪০ মিনিটের বৈঠক শেষে আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের আহবান জানান অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল আনাম মো. রিয়াজ।

এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্যেশে তিনি বলেন, তোমাদের (আন্দোলনরত শিক্ষার্থী) সমস্যা মানে আমাদের সমস্যা। শিক্ষক সংকটের বিষয়টি আগামী এক সপ্তাহের ভেতরে সমাধান করা হবে। এছাড়া ছাত্রী নিবাসের নাম বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নামকরণের বিষয়টি লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে। এসময় বঙ্গবন্ধু হলের পানি বিষয়টি আগামী রোববারের ভেতর সমাধান হবে বলে জানান তিনি।

পরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুক্ত থাকা কলেজ ছাত্রলীগ নেতা দিলোয়ার হোসেন রাহী জানান, দীর্ঘদিন থেকে ইতিহাস বিভাগে শিক্ষক সংকট, হলের পানি সমস্যা নিরসন ও ছাত্রী নিবাসের নাম বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নামকরণের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। আমরা শিক্ষার্থীদের সব দাবির সঙ্গে একমত হয়ে কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছি। দ্রুত এ সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নিতে প্রশাসন আমাদের আশ্বস্থ করেছেন।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *