হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন- ‘আমার নাম বলে কেউ প্রভাব খাটাতে চাইলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে দিয়ে দেবেন। আমি অমুকের লোক, তমুকের লোক, অন্য লোকের নাম যদি বলে, তাহলে একটু ওয়েট করে জেনে ব্যবস্থা নেবেন। আর যদি বলে আমি ব্যারিস্টারের লোক, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে থানায় দিয়ে দেবেন। রাজনৈতিক কোনো ইন্ফুয়েন্স থাকবে না।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাসিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় ব্যারিস্টার সুমন এসব কথা বলেন।
পুরো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে সিসিটিভির আওতায় আনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন ঢাকায় বসে হাসপাতালের চিত্র দেখে আমি অন্য কাজ শুরু করব। হাসপাতালে বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু রাখতে হবে, হাসপাতালের কোনো ডাক্তার প্রাইভেট ক্লিনিকের পার্টনার থাকতে পারবেন না। হাসপাতালের কোনো নার্স কিংবা কোনো মহিলার ওপর নির্যাতন করা যাবে না। আমি এটা বরদাশত করব না। প্রশাসনকে যদি আমি হেল্প করতে না পারি, তাহলে এ রকম অযোগ্য এমপি আমি থাকতে চাই না, এ রকম এমপি না হলেও চলবে। তিনি হাসপাতালের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান।
উপাজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডা. মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির লস্কর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা রায়হানা, ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা খাতুন, লুৎফুর রহমানসহ হাসপাতালের ডাক্তাররা।
বার্তা বিভাগ প্রধান