৭৩ কোটি টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে ইস্টার্ন ব্যাংকের করা মামলায় এএফসি হেলথ লিমিটেডের সাত পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন, এএফসি হেলথ লিমিটেডের পরিচালক জুয়েল খান, মো. আফজল, মো. জিয়াউদ্দিন, সাইদুল আমিন, মো. শামসুদ্দোহা তাপস, এসএম সাইফুর রহমান ও মাহবুব আরব মজুমদার।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে অর্থঋণ আদালত চট্টগ্রামের বিচারক মো. মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মামলার আদেশে বিচারক বলেছেন, আসামিরা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিশেষ পুলিশ সুপারের (ইমিগ্রেশন) কাছে আদেশের কপি পাঠানো হলো। একইসঙ্গে তাদের পাসপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
মামলার নথির বরাত দিয়ে বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন, ‘ইস্টার্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ১০ বছর আগে নেওয়া জামানতবিহীন ঋণ পরিশোধ না করায় ২০২৩ সালে মামলা করেছিল ব্যাংকটি। বুধবার দুপুরে ব্যাংকের পক্ষে আগ্রাবাদ শাখার কর্মকর্তা মো. মারুফ বিন আলম ফয়সাল অর্থঋণ আইন ২০০৩-এর ৫৭ ধারায় আসামিদের পাসপোর্ট জব্দ এবং আদালতের আদেশ ছাড়া দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। শুনানিতে ব্যাংকের পক্ষে আইনজীবীরা বলেন, এই মামলায় ঋণের বিপরীতে কোনও স্থাবর সম্পত্তি ব্যাংকের কাছে দায়বদ্ধ নেই। আসামিদের পার্সোনাল গ্যারান্টিতে ঋণ দেওয়া হয়েছিল। খেলাপি ঋণ ইতোমধ্যে দুবার পুনঃতফসিল করা হয়েছে। এরপরও পরিশোধ করেননি আসামিরা। উল্টো মামলা সম্পর্কে জেনে দেশত্যাগের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা দেশত্যাগ করলে এই খেলাপি ঋণ আদায় অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।’
আদালত সূত্র জানায়, আদেশে বিচারক উল্লেখ করেন ঋণের বিপরীতে আসামিদের কোনও স্থাবর সম্পত্তি ব্যাংকের কাছে দায়বদ্ধ নেই। অর্থঋণ আদালতে বিচারাধীন বহু মামলায় জামানতবিহীন ঋণখেলাপিরা দেশত্যাগ করায় হাজার কোটি টাকার ঋণ আদায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় এএফসি হেলথ লিমিটেডের সাত পরিচালকের পাসপোর্ট মামলার পরবর্তী শুনানির মধ্যে আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হলো। তারা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশের বিশেষ শাখা, ঢাকা বরাবর আদেশের কপি পাঠানো হলো।
বার্তা বিভাগ প্রধান