আইসিসি দুর্নীতিবিরোধী আচরণবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ স্বীকার করার পর সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হলেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার নাসির হোসেন।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে নাসিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে আইসিসি। অপরাধ স্বীকার করার পর দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন তিনি, এর মধ্যে ছয় মাস স্থগিত রাখা হচ্ছে।
তার বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী কোডের তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ এনেছিল আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট আকসু।
ঘটনাটি মূলত সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত টি-টেন লিগকে কেন্দ্র করে। ২০২০-২১ আসরে ঘটা এই কাণ্ডের জন্য নাসিরসহ মোট আট জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। তারা সবাই পুনে ডেভিলস ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
জানা গিয়েছিল, যারা অভিযুক্তদের প্রভাবিত করতে চেয়েছিলেন তারা আকসুর তালিকায় থাকা শীর্ষ ও পরিচিত অপরাধী। তারা ডেভিলস ক্যাম্পে ম্যাচের ফলাফল পরিবর্তনে প্রভাব রাখার চেষ্টা করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত যদিও তাদের সব অপচেষ্টা আকসুর কারণে ভেস্তে গেছে।
সেবার নাসির পুনের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই সময়ই পুনে শেষবার টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশের হয়ে ২০১৮ সালে সর্বশেষ খেলা নাসির ছাড়া বাকি অভিযুক্তরা হলেন যৌথ মালিক কৃষান কুমার চৌধুরী এবং পারাগ সাংভি, দুজন ঘরোয়া ক্রিকেটার রিজওয়ান জাভেদ ও সালিয়া সামান, ব্যাটিং কোচ আসার জাইদি, সহকারী কোচ সানি ঢিলন, টিম ম্যানেজার শাদাব আহমেদ।
অভিযুক্তদের মধ্যে হাইপ্রোফাইল নামটি ছিল ৩১ বছর বয়সী নাসির। তার বিরুদ্ধে আনা অন্যতম অভিযোগটি হলো, ৭৫০ মার্কিন ডলারের উপহার পেয়েও সেটির বিষয়ে আকসুকে কিছুই জানাননি তিনি।
যৌথ মালিক সাংভির বিরুদ্ধে অন্যতম অভিযোগ ছিল ম্যাচের ফলের ওপর বাজি ধরার চেষ্টা। জাইদি, জাভেদ ও ঢিলনের বিরুদ্ধে অন্যতম অভিযোগটি ছিল ম্যাচ পাতানোর।
অভিযুক্তদের মধ্যে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও টিম ম্যানেজার শাদাব ছাড়া বাকি ৬ জনকে প্রাথমিকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। একই সময়ে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দুজনকে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা পেলেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার।
বাংলাদেশের জার্সিতে ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্তু ১১৫ ম্যাচ খেলতে নেমেছেন নাসির। ৩৯ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি করেছেন ২৬৯৫ রান।
তারপর থেকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছেন নাসির। সবশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে খেলেছেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে।
নাসির আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাবেন ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল থেকে।