রাজধানীর গোপীবাগে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুনে ট্রেনটির অন্তত ৫টি বগি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এসময় আগুনে দগ্ধ হয়ে চারজন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ট্রেনটি দুপুর পৌনে একটায় যশোরের বেনাপোল স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে ট্রেনটিতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট। প্রায় সোয়া একঘণ্টা চেষ্টার পর রাত ১০টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস।
আগুনের এ ঘটনায় এক চিকিৎসকসহ দুইজন দগ্ধ যাত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা হলেন ডা. কৌশিক বিশ্বাস (৩৫) ও আসিফ মো: খান (৩০)।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসের ৫টি বগিতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। এতে পাঁচটি বগি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। বগির ভেতরে মানুষজন আছেন, তাদের এখনও উদ্ধার করা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস এবং রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনী আগুন নেভানোর কাজ করছে। এছাড়া ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও অবস্থান করছে। হতাহত সম্পর্কে এখনই বলা যাচ্ছে না।
ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তালহা বিন জসীম।
মাইক ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। সবার কাছে সহযোগিতা চাইছেন উদ্ধারকারী ফায়ার সার্ভিস এবং র্যাব কর্মকর্তারা।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ট্রেনটির কয়েকটি বগিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনের খবর পেয়ে ৯টা ২৫ মিনিটে খিলগাঁও, পোস্তগোলা ও আশপাশের ফায়ার স্টেশন থেকে সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ করছে।
এদিকে, বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. সাহিদুজ্জামান জানান, ১৫৪ জন যাত্রী নিয়ে বেনাপোল থেকে ছেড়ে যায় বেনাপোল এক্সপ্রেসটি। ট্রেনটিতে ঢাকার যাত্রী ছিল ৪৯ জন। বাকিরা এর আগের বিভিন্ন স্টেশনে নেমে যাওয়ার কথা। এরমধ্যে কোনও ভারতীয় নাগরিক ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।