ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর খুঁজতে মহাকাশে পাড়ি দিলো ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর স্যাটেলাইট এক্সপোস্যাট। সোমবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস রিসার্চ সেন্টার থেকে পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্ল বা পিএসএলভি-র মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে স্যাটেলাইটটি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ খবর জানিয়েছে।
বছরের প্রথম দিনটিকেই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য বেছে নিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। মহাকাশে কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান এবং পর্যবেক্ষণ করবে এই স্যাটেলাইট। সেই সঙ্গে উজ্জ্বলতম ৫০টি শক্তির উৎস পর্যবেক্ষণ এক্সপোস্যাটের তালিকায় রয়েছে। মহাকাশের নিউট্রন স্টারগুলোকে এই কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে অধ্যয়ন করবেন বিজ্ঞানীরা।
এটি ভারতের প্রথম এক্সরে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট, যা বিশ্বে দ্বিতীয়। এর আগে এই ধরনের কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়েছে শুধুমাত্র নাসা।
ইসরোর এক্সে (সাবেক টুইটারে) পোস্ট করে সাফল্যের কথা জানানো হয়েছে। আপাতত এক্সপোস্যাটকে রাখা হয়েছে পৃথিবী থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দূরের কক্ষপথে।
মহাকাশে এই কৃত্রিম উপগ্রহটির আয়ু পাঁচ বছর। পৃথিবীর উপরে নিচু কক্ষপথেই প্রদক্ষিণ করবে এক্সপোস্যাট। ভূমি থেকে তার সর্বোচ্চ উচ্চতা হবে ৫০০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার।
মহাকাশে এক্স রশ্মির উৎস খুঁজবে এক্সপোস্যাট। এর মাধ্যমে কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কে গবেষণায় নতুন দিশা পেতে চলেছে ইসরো। কৃষ্ণগহ্বরের উপস্থিতি, সন্ধান, উৎস প্রভৃতি নানা তথ্য জোগাড় করবে এই স্যাটেলাইট।
ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ সোমবার বলেন, আরও এক সাফল্য পেলাম পিএসএলভি-তে। এক্সপোস্য়াট স্যাটেলাইট নির্দিষ্ট কক্ষপথে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সামনে আরও সময় অপেক্ষা করে আছে। সবে বছর শুরু হল। এ বছর আরও অনেক প্রকল্প রয়েছে।
বার্তা বিভাগ প্রধান