Home » গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান এবং নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার জনের শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় একটি ধারায় ৬ মাসের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। একই মামলায় অপর একটি ধারায় ২৫ হাজার জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।

সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

এদিন মামলাটির রায় শুনতে ড. ইউনূস ১টা ৩৫ মিনিটে আদালত চত্বরে হাজির হন। এই মামলায় অন্য আসামিরাও হাজির হয়েছেন। পরে দুপুর ২টা ১২ মিনিটে বিচারক এজলাসে ওঠেন এবং ২টা ১৩ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম এবং মো. শাহজাহান।

গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুনানি শেষে রায় ঘোষণার এই তারিখ ঠিক করেন।

গত ১১ অক্টোবর মামলার বাদী এবং প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। এরপর গত ১৮ অক্টোবর দ্বিতীয় সাক্ষী, গত ২৬ অক্টোবর তৃতীয় সাক্ষী এবং সর্বশেষ গত ২ নভেম্বর চতুর্থ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

গত ৯ নভেম্বর আত্মপক্ষ শুনানিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ।‘ অপর আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। এরপর গত ১৭ নভেম্বর থেকে যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয়।

জানা যায়, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন।

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *