হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনটি সিলেট বিভাগের প্রবেশদ্বার। মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত।
প্রচার- প্রচারণায় সরগরম হবিগঞ্জ-৪ আসনের নির্বাচনী এলাকা। চা-বাগান অধ্যুষিত এ আসনে স্বাধীনতার পর ৩টি নির্বাচন ছাড়া প্রতিটি নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। জয়ের ক্ষেত্রে মূল নিয়ামক চা শ্রমিকদের ভোট। স্বাধীনতার পর থেকেই তারা নৌকায় ভোট দিয়ে আসছেন।
এ আসনে গত দুবার নির্বাচিত হয়ে এবারও নৌকা পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য। নৌকার বিজয়ে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমন। ফলে নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা। হেভিওয়েট এ দুই প্রার্থী প্রতীক পাওয়ার পর সরব রয়েছেন ভোটের মাঠে।
ঈগল প্রতীক নেওয়ার কারণ হিসেবে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার ছোটবেলা থেকেই দুইটা কারণে ঈগল পাখির প্রতি দুর্বলতা আছে। একটা হচ্ছে- ঝড়-তুফানের সময় সকল পাখি নীড়ে গিয়ে আশ্রয় নেয়। আর ঈগল পাখি ঝড়-তুফানে ওপরে উঠে গিয়ে ঝড়-তুফান মোকাবিলা করে। এটা আমার চরিত্রের সাথে যায়। আরেকটা হচ্ছে- ঈগল পাখির ৪০ বছর হওয়ার পর সবকিছু দুর্বল হতে থাকে। দাঁত-নখ দিয়ে শিকার ধরতে পারে না। তখন সে পাহাড়ে গিয়ে একটা কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হয়। পাথরে ঘষে ঘষে তার নখ-দাঁত আবার সে ধার করে। তারপর ফিরে এসে নতুন আঙ্গিকে ৭০ বছর পর্যন্ত শিকার করতে পারে। তো আমার বয়স ৪৪, ৪০ বছর পর্যন্ত আমি যা দুর্বল হওয়ার পড়াশোনা করে-টরে হয়েছি। ৪০ থেকে ৪৩ পর্যন্ত আবার নতুন উদ্যমে নিজেকে তৈরি করেছি।
তিনি আরও বলেন, ৪৯টা ব্রিজ বানাইছি, হাজার হাজার গাছ লাগাইছি। এখন আমার বিশ্বাস আগামী ৩০ বছর ঈগলের মতো করে যে নিশানা ও মিশন আমি ঠিক করছি- আমার এলাকার মানুষকে দুর্নীতিবাজ ও পরিবেশ ধ্বংসকারীদের কাছ থেকে মুক্ত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা উপহার দিতে চাই।
স্বতন্ত্র হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি আসলে একেবারেই নিজের মত করে স্বতন্ত্র। মনে রাখবেন আমি স্বতন্ত্র ঠিকই, কিন্তু আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার পারমিশন নিয়ে স্বতন্ত্র। আমাকে একেবারে স্বতন্ত্র যেটা তা বলা ঠিক হবে না। আমি তো জননেত্রী শেখ হাসিনার পারমিশন নিয়ে স্বতন্ত্র। এখানে যে যুদ্ধটা হবে, যারা নৌকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আছেন, তারা যদি জনপ্রিয়তা হারিয়ে থাকেন, তাহলে নৌকা থেকে শুধু মাঝিটা বদল হবে। আর মাঝি দুর্বল বা রিস্কি হলে এই নৌকায় তো লোকজন উঠতে চাইবে না। জননেত্রী একজনকে দিয়েছেন নৌকার নমিনেশন। আর আমাকে দিয়েছেন স্বতন্ত্র নির্বাচন করার পারমিশন।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, এলাকার মানুষ নৌকা না নৌকার মাঝি পরিবর্তন চায়। আমরা নৌকার বিরুদ্ধে না, মাঝি পরির্বতন করতে চাই।
বার্তা বিভাগ প্রধান