Home » গাজা ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোট আবারও স্থগিত

গাজা ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোট আবারও স্থগিত

গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোট দ্বিতীয়বারের মতো স্থগিত হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এই ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এর আগে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট প্রথম দফায় সোমবার স্থগিত হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

গাজায় সংঘাত বন্ধের লক্ষ্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোট সোমবার প্রথম দফায় স্থগিত করা হয়। এরপর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের খসড়া রেজুলেশনের ওপর ভোটাভুটি মঙ্গলবার দ্বিতীয়বারের মতো স্থগিত হয়।

নিরাপত্তা পরিষদের এই খসড়া রেজোল্যুশনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখনও আশ্বস্ত না। ভোটাভুটি মঙ্গলবার দিনের শেষে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে তা এখন তা পরিবর্তন করে বুধবার সদস্যরা নিরাপত্তা পরিষদের খসড়া প্রস্তাবে ভোট দেবেন।

ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে সংঘাত যখন আবার চরম মাত্রা ধারণ করেছে ঠিক তখন হামাসের নেতা আলোচনার জন্য মিশর ভ্রমণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, ইসমাইল হানিয়াহ বুধবারের পরে কায়রোতে যাওয়ার কথা।

মিশর, কাতারের সহায়তায় পাস হওয়া যুদ্ধবিরতির আওতায় গত মাসে গাজায় যুদ্ধবিরতি দেওয়া হয়। এতে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী শত শত ফিলিস্তিনিদের বিনিময়ে হামাসের হাতে বন্দী প্রায় ১০০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়।

এদিকে মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ বলেছেন, দেশটি আরও জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত।

হামাসের কর্মকর্তা ওসামা হামদান সোমবার বৈরুতে একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন ইসরায়েলি আগ্রাসন পুরোপুরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত জিম্মি বিনিময় চুক্তির বিষয়ে কোনও আলোচনা হবে না।

এর আগে মঙ্গলবার জাতিসংঘে নিযুক্ত ডেপুটি মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড সাংবাদিকদের বলেন, সদস্যরা এখনও অন্যান্যদের সাথে এই খসড়া রেজোলিউশন নিয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, আমি শুধুমাত্র বলতে পারি যে, আমরা এই ইস্যুতে এখনও কাজ করছি এবং আজ কী ঘটে তা আমরা দেখব।

এর আগে ৮ ডিসেম্বর গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হয়। কিন্তু তাতে ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সেই ভেটোর পর গাজায় আরও বেশি করে আগ্রাসন চালাতে শুরু করে ইসরায়েল।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *