আজ বুধবার সকাল সোয়া ১১টায় সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেখান থেকে হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরান (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করবেন। পরে সিলেট সার্কিট হাউজে অবস্থান করবেন। এরপর বেলা তিনটার দিকে তিনি জনসভায় ভাষণ দেবেন।
এদিকে, শেখ হাসিনার সফর ও আওয়ামী লীগের প্রথম নির্বাচনী জনসভা ঘিরে সিলেটে উজ্জীবিত আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দলীয় সভানেত্রীর আগমন ঘিরে সিলেটজুড়ে বইছে উৎসবের আমেজ। তোরণ, ব্যানার-ফেস্টুনে সেঁজেছে সিলেট নগরী। জনসভায় লাখো মানুষের সমাগম ঘটাতে গেল প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কাজ করেছেন নেতাকর্মীরা। শেখ হাসিনার জনসভাকে জনসমুদ্রে রূপ দিতে এরই মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জনসভাস্থল পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
আলিয়া মাদরাসা মাঠ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় সিলেটবাসীর প্রতি আন্তরিক। তাঁর কাছে কিছু চাইতে হয় না, চাওয়ার আগেই তিনি দিয়ে থাকেন। বুধবার আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা জনসমুদ্রে রূপ নেবে। এই জনসভার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হবে এবারও সিলেটের সব কয়টি আসন সিলেটবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেবে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সমাবেশস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, জনসভার জন্য বিশাল মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মীদের উপস্থিতিতে চলছে শেষ মুহুর্তের কাজ। সমাবেশস্থলের চারপাশে বাঁশ দিয়ে শক্ত বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। নেতাকর্মীদের সমাবেশস্থলে ঢোকার জন্য পৃথক লেন তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে সিলেট নগরীকে সাজানো হয়েছে ভিন্ন সাজে। নগরীর প্রতিটি ব্যস্ততম সড়কে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করা হয়েছে। বিশেষ করে নগরীর চৌহাট্টা, রিকাবিবাজার, লামাবাজার, দরগাহ গেইট, আম্বরখানা ও বিমানবন্দর সড়ক সংস্কার করা হয়েছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আলোক সজ্জার পাশাপাশি শোভা পাচ্ছে সারি সারি ফুলের গাছ। সবমিলিয়ে উৎসবের নগরীতে রূপ নিয়েছে সিলেট।
এর আগে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সিলেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারনা শুরু করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সে সময়ও হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরান (রহ.) এর মাজার জিয়ারত এবং আলিয়া মাদরাসা মাঠে সমাবেশ করেছিলেন তিনি। এবারও তাঁর সফরসূচিতে এসব কর্মসূচি রয়েছে।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সিলেটবাসী। ইতোমধ্যে জনসভার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সিলেটবাসীর প্রতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সব সময় আন্তরিক। জনসভায় সিলেটের উন্নয়নের কথা বলবেন। তাছাড়া নির্বাচন নৌকায় ভোট চাওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেবেন।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রীর জনসভার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। জননেত্রীকে স্বাগত জানাতে গত কয়েকদিন থেকে নিরলসভাবে নেতাকর্মীরা কাজ করেছেন। কেন্দ্রের নির্দেশনা মোতাবেক জনসভায় ১০ লাখ মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে কাজ করা হয়েছে। বুধবারের জনসভা সিলেটের ইতিহাসে স্মরণকালের বৃহৎ সমাবেশ হবে বলে আমরা মনে করছি।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমরা নির্বাচনের আচরনবিধির প্রতি খুবই যতœবান। যার কারণে প্রধানমন্ত্রীর সিলেট সফর নিয়ে আচরনবিধি লঙ্ঘন হয় এমন কোনো কাজ করছি না। তবে জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি। আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটাতে আমরা কাজ করেছি। আশা করছি সমাবেশ জনসমুদ্রেই পরিণত হবে।
বার্তা বিভাগ প্রধান