Home » অগ্নিপুরুষ এড. সামসুজ্জামান জামান ভাইকে নিয়ে কিছু কথা…

অগ্নিপুরুষ এড. সামসুজ্জামান জামান ভাইকে নিয়ে কিছু কথা…

Selim Ahmed Sagor:  বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি.এন.পি’র কেন্দ্রীয় সহ-স্বেচ্ছা বিষয়ক সম্পাদক এড. সামসুজ্জামান জামান শুধু একটি নাম নয় বরং একটি ইতিহাসও বটে। সিলেট বাসী সহ পুরো বাংলাদেশে রয়েছে যার অবিশ্বাস্য জনপ্রিয়তা।

সিলেট জাতীয়তাবাদী রাজনীতির কর্ণধার এই মহান নেতা কত সংগ্রাম করে এই পর্যন্ত এসেছেন তা নিশ্চয় কারো অজানা নয়। সকল অন্যায় এবং অপশক্তির জবাব দিয়েছেন নিজের অবস্থান থেকে। জীবনের কোনো পর্যায়ে হননি হতাশ, হননি দিশেহারা বরং সকল অপশক্তির জবাব দিতে সবসময় নিজেকে প্রস্তুত রাখেন। আর তার এই শিক্ষা নিয়ে অনেকে আজ সফলতার স্বাধ আস্বাধন করতে পেরেছেন আর করছেন। তার ছায়াতলে এসে কত যে নেতা হয়েছেন তার নির্দিষ্ট কোনো হিসাব মেলানো দুষ্কর। কত যে তৈরি করেছেন নিজের অবস্থান তাও বলা মুশকিল। প্রতবাদী এই নেতার শিক্ষা নিয়ে সিলেট রাজনীতিতে সরব রয়েছেন অনেকে। তাদের এই অবস্থানের পেছনে এড. সামসুজ্জামান জামান ভাইয়ের অবদান অনস্বীকার্য। তৃণমূল থেকে শুরু করে রাজপথের সকল স্থানে তার অবদান চির স্মরণীয়। নিজের শ্রম, মেধা এবং ভালোবাসার মধ্যদিয়ে জয় করতে পেরেছেন কোটি মানুষের হৃদয়ের মন। প্রতিবাদী এই নেতা যখন থেকে রাজনীতির মাঠে পা রাখেন ঠিক তখন থেকে সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। আর তার এই জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তার আদর্শ এবং ভালোবাসায় অনুপ্রাণিত হয়ে শুরু থেকেই জড়ো হতে থাকে হাজার হাজার জনতা। এই ভাবে হাজার থেকে লক্ষ হৃদয়ে স্থান করে নেন তিনি। এই মহান নেতা জনগণের কল্যাণে সবসময় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে ভালোবাসেন। দুংখের বিষয় যে, একদল কুচক্রী মহল শুরু থেকে তার সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে উঠে পড়ে লাগে। কিন্তু কুচক্রীদের এই চেষ্টা সবসময় ব্যর্থতায় পরিণত হয়। সংগ্রাম এবং যুদ্ধের মধ্যদিয়ে নিজেকে সবসময় টিকিয়ে রাখছেন। যতবার তারা চেষ্টা করেছিলো ততবার ব্যর্থ হয়েছিলো। জাতীয়তাবাদী দলকে ভালোবাসেন বলে সহ্য করতে হয় কত নির্যাতন আর কত অবহেলা। নির্যাতনের শিকার হয়ে জেলে যেতে হয় তাকে বারবার। কিন্তু জনগণের আস্থা/ভালোবাসা কখনও তার সাথে বেঈমানি করেনি! প্রশাসনও বারবার তার জনপ্রিয়তার কাছে হার মানতে বাধ্য হয়। অন্যায়ের প্রতিবাদে সর্বদা তিনি তৎপর। যেখানে অন্যায় সেখানে প্রতিরোধ এ যেন তার একটা নেশা। জাতীয়তাবাদী পরিবারের সদস্য হওয়ায় ভাগ্যে জুটে শতাধিক মামলা। কিন্তু তারপরও তিনি তার নীতি এবং আদর্শ থেকে এক পাও পিছপা হননি। এই মহান নেতার একটা মহৎ গুণ হলো তিনি তার কর্মী/শুভাকাঙ্ক্ষীদের মনের গভীর থেকে ভালোবাসেন এবং তাদের যথাপুযক্ত মূল্যায়ন করতে সর্বদা চেষ্টা করে থাকেন। কর্মীরাই তার প্রাণ। প্রায়ই একটি কথা বলে থাকেন, “””যদি দেখো তোমায় কেউ মেনে নিতে পারছে না এবং হিংসা করছে,,তখন মনে করবে তোমার এই সফলতাকে সে মেনে নিতে পারছে না। আরও বলতেন যদি কেউ তোমাকে নিয়ে এবং তোমার কাজকর্ম দেখে নাইবা হিংসা করল,, তবে তোমার কাজ কতটা সফল কিভাবে তার বিচার করব””””””।।

নির্যাতনের চরম শিকার হন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। নাটকীয় এই সরকার জাতীয়তাবাদী পরিবারের অধিকাংশ সদস্যদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কাবু করে ফেলে। আর যাদেরকে কাবু করতে পারেনি শুরু হয় তাদের প্রতি অমানবিক নির্যাতন। নির্যাতনের প্রতিরূপ তাদেরকে দেওয়া হয় একের পর এক মামলা এবং বারবার প্রেরণ করা হয় কারাগারে। শুধু কারাগারে প্রেরণই শেষ নয়, কারাগারে তাদের প্রতি পুলিশ লীগ অমানবিক নির্যাতন। আর এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়েছে ফ্যাসিস্ট অবৈধ সরকার। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পুরো সময়টা কোনো কোনো নেতা কাটিয়েছেন জেলে।

যার শিকার আমাদের প্রিয় নেতা সিলেটের প্রাণ পুরুষ এড. সামসুজ্জামান জামানও। এসব অন্যায়ের জবাব দিতে গিয়ে এই মহান নেতাকেও সহ্য করতে হয়েছে অনেক রকমের নির্যাতন। নির্যাতনের চাপে পড়েও তিনি তার আদর্শ এবং নীতি থেকে থমকে যাননি। প্রতিবাদ করার ফলে তাকে বার বার জেলে যেতে হয়। আর জেল থেকে বের হওয়ার পরও তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে আবার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ঐসব নির্যাতনের প্রতিবাদে তার অবস্থান ছিলো লক্ষ্যণীয়। বৃহত্তর সিলেটে জাতীয়তাবাদী অনেক নেতা জেল জুলুমের ভয়ে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু তিনি কখনও আন্দোলন থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখেননি। সেই সময়টাতে ও সিলেটের মাটিতে আন্দোলনের তুমুল ঝড় উঠেছিলো তারই নেতৃত্বে। যার আন্দোল দেখে প্রশাসনও ভয়ে কেঁপে উঠে। তিনিই একমাত্র বীর যার কণ্ঠ শুনলে অপরাধীরা দৌড়ে পালিয়ে বেড়ায়। সিলেটের অগ্নিপুরুষ নামে খ্যাত এড. সামসুজ্জামান জামান অনুসারীরা রাজপথ দখলের মধ্যদিয়ে নাটকীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারকেও হটাতে ভূমিকা রাখে আর এখনও সকল অন্যায়ের জবাব দিয়ে যাচ্ছে। সিলেট বাসীর রত্ন এই নেতা বীরের মতো সকল সমস্যার মোকাবেলা করে থাকেন। শুধু বিরোধীরা নয়, দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে বসে থাকা দালালদেরও মোকাবেলা করে যাচ্ছেন নিজের মতো করে।

এই মহান নেতাকে আওয়ামী স্বৈরাচারী অবৈধ সরকার নানা ভাবে ফাঁসায়। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার তার ষড়যন্ত্রে একদম দেউলিয়া হয়ে পড়ে। এই সরকার ত্যাগী এবং পরিশ্রমী নেতাদের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের করে। বাদ পড়ে নি মাঝারি এবং ছোটরাও। অনেক নীতিবান নেতারা তাদের নীতি থেকে সরে গিয়ে আওয়ামী সরকারের মদদে পরিণত হয়। কিন্তু বীরত্বের অধিকারী এই মহান নেতা কখনও অবৈধ সরকারের মদদ করেননি। দলকে এবং দেশের জনগণকে আপন ভাবেন বলেই তো তিনি রাজপথে সবসময় সরব উপস্থিতি রাখেন। সকল অন্যায় এবং অপশক্তির বিরুদ্ধে তিনি রাজপথেই দিতে ভালোবাসেন। সকল নেতাকর্মী ভয়ে ঘা ডাকা দিলেও তিনি সিলেটের মাটিতে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে বাচিয়ে রাখেন। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের মুখে থু থু দিয়ে একমাত্র তিনিই আন্দোলন করেন। সকল প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও তিনি দল এবং দেশের সাধারণ জনগণের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। ফ্যাসিস্ট সরকার তাকে ধমিয়ে রাখার জন্য নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করলেও পাড়ে নি আর পারবেও না। মহান এই নেতা নিজ গৌরবে মহীয়ান। দেশনেত্রী বেগম খালদা জিয়া এবং তারুণ্যের অহংকার জনাব তারেক জিয়ার নির্দেশে আন্দোলন করতে একটু ভীত নন তিনি। অনেক নেতা রয়েছেন যারা আন্দোলন করার বদলে নাক ডেকে বাসায় ঘুমান। কিন্তু তিনি তার ব্যক্তিত্ব এবং যোগ্যতা দিয়ে জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে স্বশরীরে মাঠে থাকেন। এতো ত্যাগ তিতীক্ষা স্বীকার করেন যে, কেন্দ্র থেকে ডাক আসলে পরিবারের কথাও ভুলে যান তিনি। পরিবারের সবকিছু বিসর্জন দিতেও দ্বিধাবোধ করেন না। একটা কথা প্রায়ই বলেন,,,
“”‘সুসময়ের কোকিলের থেকে দুঃসময়ের কাকটাও অনেক উপকারী”””
দিন দিন তার শত্রুরা এতো বেড়েছে যে, তার কাজকর্ম রাগব বোয়ালরা মেনে নিতে পারে নি। ন্যায়ের প্রতীক এড. সামসুজ্জামান জামান, যার নেই কোনো বিকল্প, নেই কোনো তুলনা।
২০১৪ সালের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রহসনের নির্বাচন নিশ্চয় কারোর অজানা নয়। ঐ সময়েও এই মহান নেতার অবদান অতুলনীয়। ফ্যাসিবাদী এই সরকারের প্রহসনের নির্বাচনকে প্রতিহত করতে রাজপথে তার উপস্থিতি জনগণকে সত্যি অবাক করে দেয়। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যার জন্য অবৈধ সরকারের মসনদ পর্যন্ত কেঁপে উঠে। অবৈধ স্বৈরাচারী সরকারের সকল অন্যায়ের জবাব দিতে সিলেটের মধ্যে এই মহান নেতার নেতৃত্বে আন্দোলন হয়। আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারুণ্যের অহংকার জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে পালনে তিনি সর্বদা তৎপর। তার মতো প্রতিভা অন্যকোনো নেতার আছে বলে মনে হয় না। অন্য সব নেতা নিরব থাকলেও এই মহান নেতা কখনও নিরব থাকতে পারেন না। এভাবে একের পর এক অন্যায়ের জবাব দিতে তিনি কখনও ভুল করেন না। লক্ষ্য তার একটাই যতক্ষণ দেহে থাকবে প্রাণ ততক্ষণ অন্যায় এবং অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে যাবেন।

বর্তমান সিলেট বি.এন.পি এই মহান নেতাকে ছাড়া বড্ড বেমানান। অবিভাবক হিসাবে সিলেট বি.এন.পি’তে জামান ভাই ছাড়া বিকল্প কাউকে চিন্তা করাটা নিতান্তই অন্যায়।। উনার অনুপস্থিতি যে কতটা বেদনাদায়ক এবং ব্যর্থ তা একমাত্র রাজপথে অনুমেয়। রাজপথে যখন জামান ভাই ছাড়া আন্দোলন হয় তখন মনে পড়ে উনার কথা। ইতিহাস কখনও ভুলেনি আর ভুলেনি সিলেটবাসী। আর ভুলবে বা কেমন করে রাজপথ যার আসল ঠিকানা তাকে কি এতো সহহজে ভুলা সম্ভব?

নেতা গড়ার কারিগর এড. সামসুজ্জামান জামান। কত কর্মী যে তার ছায়াতলে এসে নেতা হয়েছেন আর হচ্ছেন তা হিসাব করতে গেলে ভুল যে হবেই!!! দু একটা পদবি পেয়ে কেউ নেতা পারে নি। কিছু বেঈমান এবং স্বার্থপর মানুষ পদবি পেয়ে ভুলে গেছে এই মহান নেতাকে। ঝড় তুফানের সময় আশ্রয় নেওয়া বেঈমানগুলো রোদ উঠতে পালিয়ে যায়। উনি না থাকলে অনেক আগেই শেষ হয়ে যেত ঐ সব নেতা, এইটা তাদের মনে রাখা উচিত নয় কি? আফসোস আজও তারা ভুল পথে হাটছে। ঝড় এসে চলে যায় নি, আর বিপদও কেটে যায়নি! বরং যাত্রা তো শুরু হয়েছে মাত্র। চলার যে পুরাটা পথ এখনো বাকি। স্পষ্ট মনে রাখা উচিত জাতীয়তাবাদী পরিবারের মধ্যে সিলেটের মাটিতে জামান ভাইয়ের বিকল্পও জামান ভাই। ইতিহাস লক্ষ্য করলে বুঝতে আর বাকি থাকে না যে, অতীতে যারা এই মহান নেতার ছায়াতলে এসে নেতা হয়েছেন তারা পারেননি আলাদা হয়ে থাকতে পারবেনও না। নেতা তো নেতাই..।। যারা উনার আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে রাজনীতি করেছিলেন, তার মধ্য থেকে যে বা যারা বড় নেতা ভাবছেন বাস্তবিক পক্ষে এই মহান নেতার কাছে তারা কিছুই না।
কারণ যিনি নেতা তৈরি করতে জানেন আবার ধ্বংস করাও তার পক্ষে অসম্ভব কিছু না।

জয় হবে জামান ভাইয়ের,
জয় হবে জনতার.. ইনশাল্লাহ্….

নেই কোনো তুলনা, দেব না উপমা,,
হাজার কর্মীর বেঁচে থাকার তুমিই অনুপ্রেরণা।
বজ্রকণ্ঠে যখন তুমি তুলো ঐ আওয়াজ,,
ভীরুরা করতে শেখে যায় তখন অন্যায়ের প্রতিবাদ।।

অবশেষে মহান আল্লাহর দরবারে উনার সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি।
সিলেট বাসীর প্রাণ, এড. সামসুজ্জামান জামান।
সিলেটের মাটিতে উনার মতো নেতা পেয়ে সত্যি আমরা গর্বিত।

 

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *