স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দেশের রাজনীতিতে একটি বহুল প্রচলিত কথা— সিলেট-১ আসনে যে দল বিজয়ী হয় সেই দলই সরকার গঠন করে। অর্থাৎ সিলেট-১ আসনটি যার সরকারও তার। এদিকে প্রতিবারের মতো এবারও হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরাণ (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত এবং জনসভার মধ্য দিয়ে সিলেট থেকে শুরু হবে নির্বাচনি প্রচারণা। সরকার গঠন করার বিষয়টি মাথায় রেখে মর্যাদাপূর্ণ এ আসনে সার্বিক দিক বিবেচনা করেই প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা সিলেট থেকেই শুরু করতে যাচ্ছে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জনসভা করবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। জনসভায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আগমন ঘিরে পুরো সিলেটজুড়ে বইছে উৎসবের আমেজ।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে তার বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) গত কয়েকদিন থেকে প্রধানমন্ত্রীর যেসব স্থানে সফর করার কথা রয়েছে সেগুলো পরিদর্শন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ আগমনকে স্বাগত জানিয়ে বিভাগীয় শহর সিলেট নগরে চলছে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রচারণা। ছোট-বড় তোরণ, ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের আশপাশের এলাকাসহ পুরো নগর। এছাড়াও জনসভার মাঠকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে কাজ করছে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, সিলেটে এবারের জনসভাটি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করবে। এমনকি বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সিলেট থাকবে নৌকার সমর্থকদের দখলে। ওইদিন সিলেট বিভাগের অন্যান্য জেলা থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনসভায় আসবেন।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সিলেটবাসী প্রস্তুত। মর্যাদাপূর্ণ এ আসনটি থেকে প্রতিবারের মতো এবারও নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী। সিলেটের জনসভায় নৌকায় ভোট চাওয়ার বিভিন্ন নির্দেশনা নেতাকর্মীদের দেবেন তিনি। অতীতের মতো সিলেটের সবকটি আসন আওয়ামী লীগকে উপহার দেওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে নেতাকর্মীরা।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল বলেন, সিলেটের জনসভার মূল উদ্দেশ্য নির্বাচনকেন্দ্রিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরই পুণ্যভূমি সিলেট থেকে মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনি প্রচারণার কাজ শুরু করেন। নেত্রীর এই আগমনে সিলেটে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর জনসভাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী সমাবেশ সফল করতে গত ১৩ ডিসেম্বর প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ প্রায় একডজন কেন্দ্রীয় নেতার উপস্থিতিতে সিলেটের একটি কনভেনশন হলে বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সিলেট বিভাগের চার জেলার আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় ২০ ডিসেম্বর আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের জনসমাবেশ স্মরণকালের বৃহৎ করার নির্দেশনা দেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সভায় বিভাগের ১৯টি আসনের সকল নৌকার প্রার্থীকে অন্তত ১০ হাজার করে লোক নিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়।সিলেট থেকেই শুরু হচ্ছে আ.লীগের নির্বাচনি প্রচারণা
বার্তা বিভাগ প্রধান