সরকারি সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আবার চিনির দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৮ টাকায়। যা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ১৩ টাকা বেশি। কিন্তু বাজারে কোনো তদারকি নেই। ফলে বেশি দামেই চিনি কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের।
গত ৬ নভেম্বর চিনির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেন ব্যবসায়ীরা, তাতে সাড়া দেয়নি সরকার। তারপরও বেশি দামে প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি করছে কোম্পানিগুলো।
রাজধানীতে প্রতি কেজি প্যাকেট চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৮ টাকায়। কিন্তু সরকার নির্ধারিত দাম ১৩৫ টাকা। খোলা চিনি ১৩০ টাকা ঠিক করে দিলেও বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা দরে।
রাজধানীর সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা হুমায়ুন বলেন, ‘বাজারে এসে দেখি চিনি দাম বাড়তি। পাকেটে প্রতি কেজি ১৪৮ টাকা দরে কিনলাম।’
ডলারের উচ্চ মূল্যকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাই লোকসান এড়াতে নিজেরাই দাম ঠিক করেছে।
ইগলু সুগার প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ডলারের দাম বেশি। সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করলে আমাদের লোকসান হয়।’
চিনির বাজারের কারসাজি থামাতে বাজারে তদারকি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে ক্যাব।
ক্যাবের সহ–সভাপতি এস এম নাজির হোসেন বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা যাতে কারসাজি করে দাম না বাড়াতে পারে সে ব্যাপারে নিয়মিত বাজার তদারকি দরকার।’
এর আগে, জুলাই মাসেও চিনির দাম নিয়ে কারসাজি হয়েছিল। ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে বেরিয়ে আসে, যে কয়েকটি কোম্পানি চিনি আমদানি করে তারাই দাম কমায়-বাড়ায়।
সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট নিউজ
বার্তা বিভাগ প্রধান