দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন রবিবার (১৭ ডিসেম্বর)। বৈধ প্রার্থীরা এ দিন বিকাল ৪টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ সময়ের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে তাদের চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম জানিয়ে দিতে হবে। কোনও দল তার দলীয় প্রতীক জোটভুক্ত দলের কোনও প্রার্থীর অনুকূলে বরাদ্দ দিতে চাইলেও সেটা এ সময়ের মধ্যে করতে হবে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রিটার্নিং কর্মকর্তারা বৈধ প্রার্থীদের অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দ দেবেন। তখন থেকেই দল বা প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি প্রচারণায় নামতে পারবেন।
নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, ভোটগ্রহণের তিন সপ্তাহের আগে কোনও প্রার্থী, দল বা তার পক্ষে কেউ নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে না। ফলে সোমবার থেকে নির্বাচনি প্রচারণার পথ উন্মুক্ত হচ্ছে।
গত ১৫ নভেম্বর ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ৭ জানুয়ারি। গত ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে দেশের ৩০০ আসনে দুই হাজার ৭১৬ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাদের মনোনয়নপত্র গত ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এতে এক হাজার ৯৮৫ জনের প্রার্থিতা বৈধ এবং ৭৩১ জনের প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। বৈধ ও অবৈধ প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে ৫৬০টি আপিল জমা হয়। এর মধ্যে ৬২৫টি আপিল পড়েছিল প্রার্থিতা ফেরত পেতে। বাকি ৩৫টি আপিল জমা পড়ে বৈধ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে। আপিলে প্রার্থিতা ফেরত পায় ২৮০ জন। পাশাপাশি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া ৫ জন বৈধ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়। সব মিলিয়ে এ নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৬০ জন। রবিবার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর এ নির্বাচনের প্রার্থী চূড়ান্ত হবে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশের নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে ২৯টি দলের মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। বিএনপি ও তাদের মিত্রসহ ১৫টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
বার্তা বিভাগ প্রধান