বিশ্বনাথে প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন ও লুটপাট এবং দস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর মালামাল হাতিয়ে নেওয়ায় ৭জন কে অভিযুক্ত করে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী ৩নং আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
উপজেলার সাউদের গাঁও উদয়পুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম (৪০) নামের এক ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।
সাউদের গাঁও গ্রামের মৃত হবিব উল্লা’র ছেলে সিরাজুল ইসলাম গত ৭ ডিসেম্বর সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট দিলরুবা ইয়াছমিনের আদালতে নালিশি অভিযোগ দায়ের করলে আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে সরজমিন তদন্ত পূর্বক পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। ৭ ডিসেম্বর আদালতে দায়েরকৃত মামলা নং বিশ্বনাথ সি.আর ৪৭০/২৩।
১৮৯৮ সালের সেকশন ২০০ এর পেনাল কোড ৩৪১/৩৯৪/৩৪ ধারা অনুসারে মামলায় মোট ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় ১ নং অভিযুক্ত হলেন বিশ্বনাথ উপজেলার চৌধুরী গাঁও গ্রামের ছোয়াব আলীর পুত্র রাজু মিয়া (২৮), ২ নং শামীম (৪৫), পিতা আব্বাস আলী, ৩নং সুজন (৩৫) পিতা মৃত আং মালিক, ৪ নং জাকির হোসেন (২৬) পিতা মৃত এলাই মিয়া, ৫ নং মজই (২৫) পিতা ময়না মিয়া, ৬ নং আজিজ (৪০) পিতা রইছ আলী, সর্ব সাং জানাইয়া ও ৭ নং জয়নাল (৪০) পিতা অজ্ঞাত, সাং সিংগেরকাছ।
বাদী তার এজাহারে উল্লেখ করেন তিনি একজন পাইকারি ব্যবসায়ী। গত ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা আনুমানিক ৬ ঘটিকায় জানাইয়া গ্রামের রাস্তার ১০০ ফুট দক্ষিণে তার ব্যবসার মালামাল বহনকৃত একটি কাভার্ড ভ্যান গতিরোধ করে গাড়ির চালক কে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ২৫০ বস্তা চিনি এবং ৫০ বস্তা ময়দা অভিযুক্তরা লুট করে নিয়ে গেছে। অপরাধে অভিযুক্তরা যেসব চিনি ও ময়দা লুট করেছে তার মোট মূল্য ১৮,২৮০০০ টাকা।
বিষয়টি বিশ্বনাথ থানা পুলিশকে অবগত করলে মালামাল উদ্ধার ও ব্যবস্তা না নেওয়ায় তিনি আদালতের দারস্থ হন।
সিলেটের জুডিশিয়াল আদালতে অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম।