২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রচার হয়েছিল জনপ্রিয় সিরিজ ‘ব্রুকলিন নাইন-নাইন’। মার্কিন এই টিভি সিরিজ মূলত পুলিশকেন্দ্রিক কমেডি ঘরানার। আর এই সিরিজে ক্যাপ্টেন রেমন্ড হল্ট চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ জনপ্রিয়তা পান অভিনেতা আন্দ্রে ব্রাওর। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সেই হাস্যোজ্বল অভিনেতা মারা গেছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
আন্দ্রের বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। অভিনেতার মুখপাত্র জেনিফার অ্যালেন জানান, উল্লেখযোগ্য কোনও শারীরিক জটিলতা ছিল না তার। তবে কয়েক দিন ধরে তিনি কিছুটা অসুস্থ ছিলেন।
আন্দ্রের মৃত্যুর খবর শুনে তার ‘ব্রুকলিন নাইন-নাইন’ সিরিজের সহশিল্পী টেরি ক্রুস বলেছেন, ‘তোমাকে জানতে পেরে, তোমার সঙ্গে হাসতে পেরে, কাজ করতে পেরে এবং ৮টি বছর তোমার অনবদ্য প্রতিভা দেখতে পেরে আমি সম্মানিত। কিন্তু এটা দুঃখজনক, তুমি খুব দ্রুত চলে গেলে। তুমি আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছো। আমি চিরকাল তোমার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো।’
একই সিরিজের আরেক অভিনেত্রী চেলসি পেরেতি সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘তোমার কণ্ঠস্বর খুব মিস করবো। তোমার সঙ্গে এতো দারুণ একটা জার্নি ছিল, এর জন্য আমি ভাগ্যবান।’
ভরাট কণ্ঠস্বরের জন্য বেশ পরিচিত ছিলেন আন্দ্রে ব্রাওর। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত প্রচার হওয়া দর্শকপ্রিয় সিরিজ ‘হোমিসাইড: লাইফ অন দ্য স্ট্রিট’-এ কাজ করে মূলত জনপ্রিয়তার সারিতে আসেন তিনি। এরপর বিভিন্ন সিরিজ-সিনেমায় নিজেকে প্রমাণ করেছেন বহুবার।
মর্যাদাপূর্ণ প্রাইমটাইম এমি অ্যাওয়ার্ডসে ১১ বার মনোনয়ন এবং দুইবার পুরস্কার পেয়েছিলেন আন্দ্রে ব্রাওর। এছাড়া দুইবার গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারেও মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সিনেমা হলো ‘গ্লোরি’, ‘প্রাইমাল ফিয়ার’, ‘সিটি অব অ্যাঞ্জেলস’, ‘ফ্রিকোয়েন্সি’, ‘ডুয়েটস’, ‘দ্য মিস্ট’, ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর: রাইজ অব দ্য সিলভার সার্ফার’, ‘দ্য গেম্বলার’ ইত্যাদি।
আন্দ্রে ব্রাওরের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে। থিয়েটারে তিনি উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছিলেন। এরপর যুক্ত হন অভিনয়ে। ১৯৮৯ সালের ‘গ্লোরি’ সিনেমার মাধ্যমেই তার পর্দায় অভিষেক ঘটে।
বার্তা বিভাগ প্রধান