ভারত সরকার কয়েক মাসের জন্য বাংলাদেশে পেয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় দেশে পেয়াজের দাম হঠাৎ করে বেড়েছে। সেই সুযোগে কানাইঘাটের হাঁট বাজার থেকে ব্যবসায়ীরা পেয়াজ উধাও করে ফেলেন।
শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কানাইঘাট বাজার, গাছবাড়ী বাজার, সড়কের বাজার ও চতুল বাজার সহ অন্যান্য হাট-বাজারে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় পেয়াজ বিক্রি হলেও বিকেলের দিকে কেজি প্রতি পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা বাড়িয়ে দেন। পূর্বের নির্ধারিত দামে পেয়াজ কিনতে ক্রেতারা দোকানে দোকানে ভিড় করলে অতি মুনাফা লাভের আশায় অনেক ব্যবসায়ী তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে মজুদকৃত পেয়াজ সরিয়ে ফেলেন।
শনিবার উপজেলার হাটবাজার গুলোতে কেজি প্রতি পেয়াজ ১৮০ থেকে ২০০টাকা ব্যবসায়ীরা বিক্রি শুরু করলে পেয়াজের মূল্য নির্ধারণ ও বাজার মনিটরিং করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা নাসরীনের নির্দেশে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফয়সাল আহমদ শনিবার দিনভর কানাইঘাট বাজার, গাছবাড়ী বাজার, রাজাগঞ্জ বাজার, মুকিগঞ্জ বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে বের হন। ভূমি কর্মকর্তা ফয়সাল আহমদ প্রতিটি মোদী দোকানে গোডাউন তল্লাশী চালিয়ে পূর্বের নির্ধারিত পেয়াজ ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি করার জন্য ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেন। অভিযানের সময় অসংখ্য মানুষ ১১০ টাকা করে পেয়াজের কেজি কিনলেও অভিযান শেষ করে চলে যাওয়ার পর ব্যবসায়ীরা আবারো ১৬০ থেকে ২০০ টাকা করে পেয়াজ বিক্রি শুরু করেন।
পেয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় রহস্যজনক কারনে শনিবার রাত পর্যন্ত অনেক হাটবাজারে ক্রেতারা পেয়াজ ক্রয় করতে গিয়ে পেয়াজ পাননি। তবে কিছু ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তারা শুক্রবার বিকেলে সিলেট কালিঘাট আড়ৎ থেকে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি ধরে পেয়াজ কিনেছেন। আগের মজুদকৃত পেয়াজ তারা পূর্বের দামে বিক্রি করছেন। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ কানাইঘাটের বড় বড় হাট-বাজারগুলোতে ব্যবসায়ীরা পূর্ব থেকে অনেক পেয়াজ মজুদ করে রেখেছিলেন, শুক্রবার বিকেলে হঠাৎ করে পেয়াজের দাম তারা বাড়িয়ে দেন এবং আবার অনেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে পেয়াজ সরিয়ে ফেলেন। যার কারনে হাটবাজারে পেয়াজের সংকট দেখা দিয়েছে।
তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহ পেয়াজের বাজার মনিটরিং করার জন্য নিয়মিত অভিযান চালানো হবে। কোন ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ভাবে পেয়াজ মজুদ করে দাম বৃদ্ধি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বার্তা বিভাগ প্রধান