নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা না পেলে হাই কোর্টের দ্বারস্থা হতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট (ইডি)। তবে সুজয়কৃষ্ণ কণ্ঠস্বরের নমুনা দিতে পারবেন কি না, তা সিদ্ধান্ত নেবে মেডিক্যাল বোর্ড। এসএসকেএম সূত্রে এমনই খবর।
এসএসকেএমে চিকিৎসা চলছে সুজয়কৃষ্ণের। তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চেয়ে একাধিক বার এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছিল ইডি। শুধু তাই নয়, ইডি আধিকারিকরা নিজেরাও হাসপাতালে যান। কিন্তু ‘কাকু’ কণ্ঠস্বরের নমুনা কবে পাওয়া যাবে তার সদুত্তর মেলেনি। কেন এত দেরি হচ্ছে সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে ইডির তরফে।
অনেক দিন ধরেই সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চাইছে তারা। কিন্তু তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। বার বার হাসপাতাল থেকে ফিরে যেতে হচ্ছে তদন্তকারীদের। তাই এ মাসের গোড়াতেও চিঠি দিয়ে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের কাছে সময় জানতে চায় ইডি। বার বার হাসপাতালে যাওয়ার পরেও সুজয়ের গলার স্বরের নমুনা না পাওয়ায়, এ বার তাই তারা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে বলে ইডি সূত্রের খবর।
ইডিকে সুজয়ের গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করার অনুমতি দিয়েছিল আদালত। বিচারক জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে হাসপাতাল থেকেই নমুনা সংগ্রহ করতে পারবেন তদন্তকারীরা। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই যা করার করতে হবে। ‘কালীঘাটের কাকু’র যাতে শারীরিক কোনও সমস্যা না হয়, তাঁর উপর যাতে চাপ সৃষ্টি না করা হয়, সেই পরামর্শ দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল অফিসার।
প্রসঙ্গত, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলতে বলছেন সুজয়। এমনই একটি অডিয়ো বার্তার কথা আদালতকে জানিয়েছিল ইডি। তাদের দাবি ছিল, ওই অডিয়োতে সুজয়কৃষ্ণেরই গলা শোনা যাচ্ছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে স্বরের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা দরকার। সুজয়ের শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘ দিন ধরে এই প্রক্রিয়া পিছিয়ে গিয়েছে। ইডির আবেদনে সম্মতি দিয়ে সম্প্রতি আবার ‘কালীঘাটের কাকু’র গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করার নির্দেশ দেয় আদালত।
নির্বাহী সম্পাদক