তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ করা হোক, এমনটাই সুপারিশ করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। এনডিটিভি জানিয়েছে, ৫০০ পাতার ওই রিপোর্টে মহুয়ার বিরুদ্ধে আইনি তদন্তের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মহুয়ার কাজ ‘অত্যন্ত আপত্তিকর, অনৈতিক এবং অপরাধমূলক’। তাঁর লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করা উচিত বলে মনে করে কমিটি।
এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে মহুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এটা তো প্রথম থেকেই জানা ছিল। যা হবে, দেখা যাবে। ওরা যত বেশি এ সব করবে, আমরা তত বেশি ওদের বিরুদ্ধে লড়ব।’’
‘ঘুষের বদলে প্রশ্ন’ মামলায় মহুয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তার তদন্ত করছে এথিক্স কমিটি। কমিটির খসড়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, মহুয়া যা করেছেন, তাতে তাঁর গুরুতর শাস্তি হওয়া দরকার। রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘‘মহুয়া এবং দর্শন হিরানন্দানির মধ্যে যে টাকার লেনদেন হয়েছে, কেন্দ্রের উচিত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার আইনগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত করা।’’
লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে এথিক্স কমিটির এই খসড়া রিপোর্ট স্পিকার ওম বিড়লার কাছে জমা দেওয়া হবে। তার পর আলোচনার ভিত্তিতে নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত।
বুধবার বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এক্স হ্যান্ডেলে দাবি করেছেন, মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় লোকপাল। তাঁর সেই দাবি শুনে আনন্দবাজার অনলাইনকে মহুয়া বলেছিলেন, ‘‘সিবিআই আগে আদানিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করুক। পরে যদি আমার জুতোর সংখ্যা গুনতে চায়, স্বাগত।’’
দুবাইয়ের শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া। নিশানা করেছেন শিল্পপতি গৌতম আদানিকে। সবটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহককে অস্বস্তিতে ফেলার জন্য। এই অভিযোগ জানিয়ে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে মহুয়াকে সাংসদ পদ থেকে বরখাস্ত করার দাবি তোলেন নিশিকান্ত। তার আগে মহুয়ার প্রাক্তন বান্ধব জয় অনন্ত দেহাদ্রাই নানা অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি তোলেন।
পরে হীরানন্দানি নিজেই হলফনামা দিয়ে জানান, মহুয়ার সংসদের লগ ইন আইডি জেনে তাতে প্রশ্ন পোস্ট করতেন তিনি। তবে ঘুষের অভিযোগ মানেননি। নিজের লগ ইন আইডি দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ মানেননি মহুয়াও।
নির্বাহী সম্পাদক