বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচের সেরা হওয়ার কথা ছিল নাকি রবীন্দ্র জাডেজার। দু’টি উইকেট এবং অসাধারণ একটি ক্যাচ নেওয়া ম্যাচের সেরা হিসাবে তাঁকেই ভেবে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সব হিসাবে গুলিয়ে দিলেন বিরাট কোহলি। ছক্কা মেরে শতরান করলেন এবং ম্যাচও জেতালেন। এক ঢিলে দুই পাখি মেরে বিরাটই বাংলাদেশ ম্যাচে সেরার পুরস্কার ছিনিয়ে নিলেন।
বৃহস্পতিবার বিরাট যখন ব্যাট করতে নামলেন, তখন ভারতের ৮৮ রান। ম্যাচ জেতা কঠিন না হলেও প্রয়োজন ছিল দায়িত্ব নিয়ে খেলা। বিরাট এবং শুভমন গিল সেটাই করছিলেন। শুভমন যখন নিজের উইকেট ছুড়ে দিয়ে ফিরে গেলেন, ভারতের তখন ১৩২ রান। জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল আরও ১৩২ রান। বিরাট নিজের লক্ষ্য থেকে সরেননি। তিনি চেয়েছিলেন দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে। সেই সঙ্গে বড় রান করাও ছিল তাঁর লক্ষ্য। বিরাট ম্যাচ শেষে বলেন, “সরি জাড্ডু তোমার ম্যাচের সেরার পুরস্কার ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য। আমি চেয়েছিলাম বড় রান করতে। এই বিশ্বকাপে অর্ধশতরান করেছি। কিন্তু আমি চাইছিলাম ম্যাচ শেষ করে আসতে। সেই লক্ষ্য নিয়েই খেলছিলাম। শুভমনকে বলেছিলাম শুরুটা ভাল হয়েছে। এমন শুরু হলে মনে হয় স্বপ্ন দেখছি।”
ম্যাচের শুরুতেই বিরাট শিরোনামে এসেছিলেন বল করে। হার্দিক পাণ্ড্য চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ায় তিন বল করেন বিরাট। দু’রান দেন তিনি। তবে বল হাতে নয়, বিরাটের দিনটা ছিল ব্যাট হাতেই। তিনি রান তাড়া করতে ভালবাসেন। বাংলাদেশ সেই সুযোগটাই করে দিয়েছিল নিজেরা প্রথমে ব্যাট করে। সুযোগ কাজেও লাগালেন বিরাট। ৯৭ বলে শতরান করলেন ছক্কা মেরে। বিশ্বকাপে রান তাড়া করতে নেমে এটাই বিরাটের প্রথম শতরান। তিনটি শতরান করে ফেললেন এক দিনের বিশ্বকাপে। পুণের মাঠেও তাঁর তৃতীয় শতরান। এক দিনের ক্রিকেটে ৫৫১ রান করে ফেললেন বিরাট।
অস্ট্রেলিয়া এবং আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করেছিলেন বিরাট। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাত্র ১৬ রান করেছিলেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পেয়ে গেলেন শতরান। এ বারের বিশ্বকাপে চার ম্যাচে ২৫৯ রান করেছেন বিরাট। এক দিনের ক্রিকেটে ৪৮তম শতরান হয়ে গেল। আর একটি করলেই ছুঁয়ে ফেলবেন সচিন তেন্ডুলকরকে।
নির্বাহী সম্পাদক