কয়েকদিন ধরে তীব্র গরমের সঙ্গে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে অসহনীয় হয়ে উঠেছে জনজীবন। সিলেটের জকিগঞ্জে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রায় অর্ধেক সময় ধরে থাকছে না বিদ্যুৎ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় ৮-১০ বার লোডশেডিং হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুতের এ অসহনীয় লোডশেডিংয়ে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। জকিগঞ্জ সদরে বিদ্যুৎ কমবেশি থাকলেও গ্রামে প্রতি ঘণ্টায় লোডশেডিং হয়। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের হাজার হাজার গ্রাহক।
তথ্য মতে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন জকিগঞ্জ জোনাল অফিসের আওতায় উপজেলা জুড়ে পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ৫৫ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। গ্রাহকদের কাঙ্ক্ষিত বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য উপজেলার তিনটি সাব-স্টেশনকে (শাহগলী, কালীগঞ্জ ও লামারগ্রাম) ১০টি ফিডারে বিভক্ত করা হয়েছে। আর এসব ফিডারের মাধ্যমে সব গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত সপ্তাহ থেকে উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং বেড়েছে। শহরে কম হলেও গ্রামাঞ্চলে প্রতি ঘন্টায় লোডশেডিং হচ্ছে। ফলে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় জনজীবনে অসহনীয় অবস্থা বিরাজ করছে।
উপজেলার সদর এলাকার পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক জাহেদ আহমদ বলেন, গ্রামে একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে আসার কোনো হদিস মেলে না। এক-দেড় ঘণ্টা পর এলেও কিছু সময় পর আবার চলে যায়।
উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আল-আমিন বলেন, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ছেলে-মেয়েরা ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারছে না। অভিযোগ জানানোর জন্য কর্তৃপক্ষের যেসব নাম্বার দেওয়া আছে সেগুলো এখন বন্ধ থাকে। খোলা থাকলেও কল দিলে কেউ রিসিভ করে না।
উপজেলার বারঠাকুরী ইউনিয়নের বাসিন্দা মনসুর মিয়া জানান, আমাদের এলাকায় আগে কখনো বিদ্যুতের এমন লোডশেডিং হয়নি, ইদানিং দিনে রাতে প্রায় ৭/৮ ঘন্টার অধিক সময় বিদ্যুৎ থাকে না। বিদ্যুতের এমন লোডশেডিং দেখে মনে হয় যে কোন অজোপাড়া গাঁয়ে বসবাস করছি।
এ ব্যাপারে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর আওতাধীন জকিগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম মোঃ জিল্লুর রহমান সোহেল বলেন- চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ কম পাওয়ায় কোনো কোনো এলাকায় লোডশেডিং হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত লোডশেডিংয়ের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
প্রতিনিধি