Home » ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট অনলাইনভিত্তিক

২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট অনলাইনভিত্তিক

ডেস্ক নিউজ : বাংলাদেশে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে অনলাইনভিত্তিক পণ্য কেনাবেচা ও আউটসোর্সিংয়ের উপর ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ’গতকাল প্রস্তাবিত ঐ বাজেটে ইন্টারনেট বা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে পণ্য বা সেবার ক্রয়-বিক্রয় বেড়েছে বলে এই পণ্য বা সেবার পরিসরকে আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ভার্চুয়াল বিজনেস নামে একটি নতুন সেবা তৈরি করা হয়েছে। সরাকারের এই সিদ্ধান্তের কারণে দেশের ই-কমার্স খাতের উপর কি প্রভাব পড়বে?
এ বিষয়ে বিবিসির সহযোগি নাগিব বাহার কথা বলেছেন, ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের জেনারেল সেক্রেটারি মো. আব্দুল ওয়াহেদ তমালের সাথে। তিনি বলেন, সম্প্রতি ই-কমার্স ইন্ডাষ্ট্রিটা যে পর্যায়ে ছিলো আমি বলবো সেটা খুব ভালো গোছাচ্ছিল।’
তাই যারা নতুন উদ্যোক্তা রয়েছে তারা অতি আগ্রহ নিয়ে ই-কমার্সখাতে আসছিলো। কিন্তু সরকারের আরোপিত এই ভ্যাটের কারণে তাদের আগ্রহ কমে যেতে পারে এবং পণ্যের দামটাও বেড়ে যাবে। ফলে আমার কাছে মনে হয় এখানে ক্রেতা অনেকাংশে কমে যেতে পারে।’

‘ভ্যাট আরোপের ফলে ক্রেতা এবং বিক্রেতা দুপক্ষই কি কমে যেতে পারে? বিবিসির এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, অবশ্যই, যখন পণ্যের দাম বেড়ে যাবে তখন ক্রেতারাও আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। আবার যারা ঐ খাতে ইনভেস্টমেন্ট করছে তারা যদি দেখে এখানে তাদের ব্যবসাটা ভালো হচ্ছে না তাহলে তারাও এ খাতে ইনভেস্টমেন্ট করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।’

‘যে কোনো ধরণের ব্যবসা করতে হলেইতো সরকারকে একটা নির্দিষ্ট ভ্যাট দিতে হয়। সেই দিক থেকে সরকারের এই ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্তটা কি যুক্তিযুক্ত? বিবিসির এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দেশের ই-কমার্সটা হচ্ছে একটা নতুন সেক্টর। এখানে ছোট বা মাঝারি যারা উদ্যোক্তা রয়েছেন তারা যেন বাজারটা ধরতে পারে। একটা সময় তারা বড় উদ্যোক্তাতে পরিণত হবে। মানুষজন যখন অনলাইনে কেনায় অভ্যস্ত হয়ে যাবে তখন কিন্তু মানুষ অনলাইনে কিনবে। আর এই ছোট ছোট কোম্পানিগুলোই যখন বড় হবে তখন তারা সরকারকে অনেক বেশি করে ভ্যাট দিতে পারবে। আর এটাই সব জায়গায় হয়ে আসছে।’

‘তাহলে সরকারের আসলে কি ধরণের পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ ছিলো বলে আপনার কাছে মনে হয়? এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ই-কমার্স যেহেতু একটা নতুন খাত সেহেতু আমার মনে হয় এ বিষয়ে সরকারের এই খাতের উপর দৃষ্টি দিতে হবে। ই-কমার্সে আসলে অনেক ধরণের ব্যবসা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৭০ লক্ষ ব্যবসা রয়েছে।’
“আর ২০২৫ সালের মধ্যে গ্লোবাল ট্রেন্ডি ৭০ শতাংশ ব্যবসাই ই-কমার্সে আস্তে আস্তে করে রূপান্তরিত হবে। যদি একটি সেক্টরকে আপনি গুরুত্ব দেয়া শুরু করেন তাহলে দেখা যাবে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারাও অনলাইনে ব্যবসা এবং ট্রেনিং করা শুরু করবে।”-বিবিসি বাংলা

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *